বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুগপৎ আন্দোলনে এলে নিষেধ করতে পারব না: জামায়াত প্রসঙ্গে মোশাররফ

  •    
  • ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৩:১৯

‘আমরা যুগপৎ আন্দোলনের কথা ঘোষণা করেছি। এই আন্দোলনে কে আসবে না আসবে সেটা তাদের বিষয়। যারা এই সরকারের বিদায় চায়, যারা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা চায়, তারা একমত হয়ে তাদের অবস্থান থেকে আন্দোলন করলে আমরা তো নিষেধ করতে পারব না।’

জোট বাদ দিলেও জামায়াতে ইসলামীকে নিয়েই যুগপৎ আন্দোলনে নামার প্রশ্নে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সরকার পতন চেয়ে কেউ আন্দোলনে এলে তারা নিষেধ করতে পারবেন না।

বিজয় দিবসে শুক্রবার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা যুগপৎ আন্দোলনের কথা ঘোষণা করেছি। এই আন্দোলনে কে আসবে না আসবে সেটা তাদের বিষয়। যারা এই সরকারের বিদায় চায়, যারা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা চায়, তারা একমত হয়ে তাদের অবস্থান থেকে আন্দোলন করলে আমরা তো নিষেধ করতে পারব না।’

স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ১৯৯৯ সাল থেকে জোট চালিয়ে যাওয়া এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় খুনি বাহিনী আলবদরের দুই শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে মন্ত্রিত্ব নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়া বিএনপির পক্ষ থেকে গত ৮ ডিসেম্বর জানানো হয়েছে, তাদের জোট আর নেই।

গত ২৭ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর কুমিল্লার একটি ইউনিটের রুকন সম্মেলনে দলটির আমির শফিকুর রহমান নেতা-কর্মীদের জানান, বিএনপির সঙ্গে জোট আর নেই। তবে স্বীকার করছিল না বিএনপি।

গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় দলটির বিভাগীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এএফপির প্রতিনিধির প্রশ্নে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রথমবারের মতো স্বীকার করেন বিষয়টি।

বিএনপি নেতা সেদিন বলেন, ‘আমাদের কোনো জোট নেই। আমরা বলেছি, অন্য দলগুলো গণতন্ত্রের জন্য তাদের নিজস্ব কর্মসূচি পালন করবে। এসব কর্মসূচি পালিত হবে একই সঙ্গে, যাকে আমরা যুগপৎ বলে থাকি। সবাই নিজের পছন্দের এলাকা বা অফিসে কর্মসূচি পালন করবে।’

এই সংবাদ সম্মেলন করার পর গভীর রাতে গ্রেপ্তার হয়ে যান ফখরুল। পরের দিন জনসভাস্থল নয়াপল্টনের বদলে গোলাপবাগ চূড়ান্ত হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন খন্দকার মোশাররফ। যারা বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে নামবে, সেই দলগুলোকে গোলাপবাগের সমাবেশে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

কোনো দল সেই সমাবেশে না গেলেও সেখানে তোলা ১০ দফা দাবি আদায়ে ২৪ ডিসেম্বর যে গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়, তার পক্ষে সমর্থন জানিয়ে একই দিন একই ধরনের কর্মসূচির ডাক দেয় জামায়াত। প্রকাশ পায়, জোটে না থাকলেও বিএনপির পাশেই আছে দলটি।

সেদিন সন্ধ্যাতে আরও ১১টি ছোট দলও ২৪ ডিসেম্বর মিছিলের ডাক দেয়, যারা বিএনপির ২০ দলীয় জোটের শরিক ছিল।

শুক্রবার সকালে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ফুলেল শ্রদ্ধা। ছবি: নিউজবাংলা

সেই ২৪ ডিসেম্বর আবার ঢাকায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এদিন মিছিলের ডাক দেয়াকে সরকারি দলের পক্ষ থেকে ‘সংঘাতের উসকানি’ বলে উল্লেখ করা হয়। তবে ঘোষণার দুদিন পরই বিএনপি কর্মসূচি স্থগিত করে। এরপর স্থগিত করে জামায়াতও।

অন্য এক প্রশ্নে মোশাররফ বলেন, ‘জনগণ চায় না এমন কোন কিছু এই ১০ দফার মধ্যে নেই। জনগণের দাবিকে এই ১০ দফায় রূপান্তর করে আমরা প্রকাশ করেছি।’

১০ দফার পক্ষে ‘গণতন্ত্রকামী মুক্তিকামী জনগণকে’ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান বিএনপি নেতা।

‘৫১ বছরেও প্রতিষ্ঠা হয়নি স্বাধীনতার চেতনা’

দেশে স্বাধীনতার চেতনা প্রতিষ্ঠিত হয়নি বলেও মনে করেন খন্দকার মোশাররফ।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছর পাড়ি দিলেও মুক্তিযোদ্ধারা যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি।

‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পূর্ণ ভূলণ্ঠিত। দেশে গণতন্ত্র নেই সন্ত্রাস চাঁদাবাজি লুটপাট অর্থনীতি ধ্বংসপ্রায়। দেশের মানুষ দিশেহারা।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার রাতে ভোট করে করে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে। এ রকম আরেকটি নির্বাচন করার জন্য সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপরে নিপিডন নির্যাতন চালানো হচ্ছে।

‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারের দমননীতি ও নগ্ন চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।’

মোশাররফ বলেন, ‘শুধু দেশের মানুষ নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও দেশে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। দেশের মানুষ জনগণের সরকার চায়।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজাহান ওমর, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, মীর সরফত আলী সপুও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি নেতৃবৃন্দ সাভারে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান।

দুপুর আড়াইটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিজয় মিছিল করার কথা আছে।

এ বিভাগের আরো খবর