ট্রলারে অবস্থান করা যাত্রীদের সবাই আটকা পড়েছিলেন সুনামগঞ্জ। তাদের কেউ পর্যটক, কেউ ব্যবসায়ী, আবার কেউ সাধারণ মানুষ।
পাহাড়ি ঢল আর বিরামহীন বৃষ্টিতে হঠাৎ বন্যা দেখা দেয়ায় শনিবার বেলা ৩টায় ওই ট্রলারে চড়ে তারা নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। প্রাথমিক গন্তব্য ছিল সিলেট। কিন্তু পথেই বাধে বিপত্তি!
সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট যাওয়ার পথে দুয়ারাবাজার এলাকায় একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায় ট্রলারটি। এতে ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।
এদিকে প্রচণ্ড বৃষ্টিতে এক জায়গায় স্থির হয়ে আছে ট্রলারটি। উত্তাল হাওরের ঢেউ আর ধারণক্ষমতার চেয়েও বেশি যাত্রী বহন করায় যেকোনো মুহূর্তে এটি ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এ অবস্থায় ট্রলারে থাকা যাত্রীদের সবাই বাঁচার জন্য আকুতি জানাচ্ছেন। ট্রলারে অবস্থান করা ইকবাল মাজেদ নামে এক যাত্রীর কাছ থেকে পাওয়া মেসেজের বরাতে এ খবর জানা গেছে।
এ প্রতিবেদককে ইকবাল লিখেছেন, ‘ভাইয়া, আমি ইকবাল। আমরা সুনামগঞ্জ থেকে রওনা দিলাম ৩টার দিকে। দুয়ারাবাজারের কাছাকাছি এসে নৌকা গাছের লগে বাড়ি খাইসে। এখন নৌকাটা নড়াচড়া করছে না। আপনি প্লিজ আমাদের বাঁচান।’
ইকবাল জানান, তারা জরুরি সেবা ‘৯৯৯’-এ কল করেও কোনো সাড়া পাচ্ছেন না।
আরও জানা গেছে, ট্রলারটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৩৫ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন। তাদের একটি বড় অংশই নারী।
পরে তাদের উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীর নির্ধারিত আটটি নম্বরে কল করা হলেও সাতটি নম্বরই বন্ধ পাওয়া যায়। একটি নম্বরে কল ঢুকলেও তা কেউ ধরেননি। কিছুক্ষণের মধ্যে ওই নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।