নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পূর্ব বিরোধের জেরে কিশোর গ্যাং লিডার ইভান (২৫) কে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
গত রোববার রাতে ফতুল্লার ইসদাইর এলাকায় ওসমানী স্টেডিয়ামের কাছাকাছি স্থানে ইভানকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ইভান (২৫) ফতুল্লার ইসদাইর সুগন্ধা আবাসিক এলাকার জামাই বাবুর ছেলে।
নিহত ইভানের ভাই মাহিয়ান দাবি করেন, ‘শফিকুল, সাইফুল ও বাবু ওরা আপন তিন ভাই ও এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী। ওরা চাঁদাবাজি করত। গত রমজানের সময় একটি ভবনে চাঁদা নিতে গেলে আমার ভাই (ইভন) তাদের বাধা দেয়। সেখান থেকেই ওদের সঙ্গে পূর্বশত্রুতা। এর জেরে ওরা তিনজনসহ আরও কয়েকজন মিলে আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , ইভান সাবেক প্রয়াত সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ছিল। ইভানের সাথে ইসদাইর রেললাইন বস্তির পাগলা সাইফুল তার মেঝো ভাই বাবু ও তাদের ছোট ভাই সফিকুল ইসলামের সাথে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্ব বিরোধ ছিল। এতে তাদের মধ্যে একাধীকবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া মারধরের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ এক মাস আগে চোর আখ্যা দিয়ে পাগলা সাইফুল ও তার দুই সহযোগীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে ইভান। এ ঘটনার পর থেকে ইভানকে হত্যা করার জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠে সাইফুল ও তার লোকজন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইভানের বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব প্রদান সহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘নিহতের লাশ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।