বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খাসজমি দখলমুক্ত করে উপহারের ঘর

  •    
  • ৩১ মার্চ, ২০২২ ১৮:২১

গৃহহীনদের ঘর দিতে সারা দেশেই সরকারি খাসজমি উদ্ধার করেছে প্রশাসন। দেশের আট বিভাগ থেকে উদ্ধার করা জায়গার পরিমাণ ৫ হাজার ৫১২ দশমিক শূন্য ৪ একর।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক আলী ফালুর দখলে থাকা সরকারি খাসজমিতে আশ্রয় হচ্ছে ভূমিহীন ৬৪টি পরিবারের। সরকার বিনা মূল্যে তাদের জন্য উপহারের ঘর তৈরি করে দিচ্ছে সেখানে।

ফালুর কোম্পানি ঢাকা সাংহাই সিরামিকের দখলে ছিল সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের ১ একর ২০ শতাংশ জমি। গৃহহীনদের ঘর দিতে এক বছর আগে এই জমি উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন।

শুধু সাভার নয়, গৃহহীনদের ঘর দিতে সারা দেশেই সরকারি খাসজমি উদ্ধার করেছে প্রশাসন।

দেশের আট বিভাগ থেকে উদ্ধার করা জায়গার পরিমাণ ৫ হাজার ৫১২ দশমিক শূন্য ৪ একর।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের যুগ্ম সচিব আশ্র‍য়ণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবু সালেহ মোহাম্মাদ ফেরদৌস খান নিউজবাংলাকে এসব বিষয় নিশ্চিত করেন।

সারা দেশে শুধু সরকারি খাসজমিতেই এই গৃহ বরাদ্দ হচ্ছে না। দখল করা জমি উদ্ধার এবং জমি কিনে আশ্রয়ণ প্রকল্পের এই ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তথ্য বলছে, ঢাকা বিভাগের ১৩টি জেলায় ১ হাজার ৩৯২ দশমিক ১১ একর, ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলার ৩৩৩ দশমিক ৮৪ একর, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার ৫৫৬ দশমিক ৯৭ একর, রংপুর বিভাগের আট জেলার ৯৪২ দশমিক ৪১৮ একর, রাজশাহী বিভাগের আট জেলার ৫৯৪ দশমিক ৭৪ একর, খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ৭৮৫ দশমিক শূন্য ৬ একর, বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার ৩৬১ দশমিক ৭৬১ একর এবং সিলেট বিভাগের চার জেলার ৫৪৫ দশমিক ১৩৭ একর সরকারি খাসজমি উদ্ধার করা হয়েছে।

সারা দেশে যে ঘরগুলো তৈরি করা হচ্ছে, সেগুলো তিন ধরনের জমিতে হচ্ছে উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালক আবু সালেহ মোহাম্মাদ ফেরদৌস খান বলেন, ‘প্রথমত আমাদের খাসজমি যেগুলো রয়েছে বিভিন্ন জায়গায় কিছু জমি অপদখলে রয়েছে। কিছু জমি কেনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এই পর্যন্ত ১৫৫ একর জমি কিনে দিয়েছেন।’

দখল করা জমি উদ্ধার করতে কী পরিমাণ চ্যালেঞ্জ ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একেক জায়গায় একেক রকম। কোনো কোনো জায়গায় অল্প কষ্টেই হয়ে গেছে। লোকেশনটা বিষয়। প্রাইম লোকেশনে হয়ে গেলে ঝামেলা একটু বেশি হয়। একটু দূরের হলে সহজে করা যায়।’

অবৈধ দখলে থাকা জমি উদ্ধারের প্রয়োজনীয়তা কীভাবে এলো, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে পুনর্বাসন। সেই পুনর্বাসন করতে গিয়েই আমরা ব্যবহার করেছি আমাদের খাসজমি।’

দেশের কোথাও কোথাও খাসজমি দখল হয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কেউ চাষাবাদ করছে, কেউ অস্থায়ীভাবে কিছু করে রেখেছে। সেখান থেকেই সাড়ে পাঁচ হাজার একরের মতো জমি উদ্ধার করা হয়েছে।’

সারা দেশে কেনা জমির পরিমাণ ১৫৫ একর। জমি কেনা বাবদ ব্যয় হয় ১০৮ কোটি ৯১ লাখ ২০ হাজার টাকা। কেনা জমিতে ৬ হাজার ৮৯১টি পরিবারের গৃহ নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া তিন পর্যায়ে মিলিয়ে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৮২ হাজার ৮০৩টি ঘর বরাদ্দের জন্য প্রস্তুত করা হয়।

১৯৯৭ সাল থেকে চলতি অর্থবছর পর্যন্ত পুনর্বাসিত পরিবারের সংখ্যা ৭ লাখ ৮ হাজার ৩টি। পরিবারের সদস্য পাঁচজন ধরে হিসাব করলে সে সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫ লাখ ৪০ হাজার ১৫ জন।

এ বিভাগের আরো খবর