বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৬ বছর ধরে অব্যবহৃত চিফ জুডিশিয়াল ভবন

  • এম এস ডালিম, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি   
  • ২৩ আগস্ট, ২০২৫ ২০:৪৪

নারায়ণগঞ্জে ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আটতলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবনের কাজ ৬ বছর আগে সম্পন্ন হয়েছে। তবে নবনির্মিত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। আইনজীবীরা পৃথক দুই স্থানে দুই কোর্টের অবস্থান মেনে না নেওয়ায় নতুন ভবনে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত স্থানান্তর করা যায়নি। ফলে নতুন ভবনের আসবাবপত্র সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র অযত্ন ও অবহেলায় নষ্ট হওয়ার পথে।

ভবনের নিরাপত্তারক্ষী শফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি সাত বছর যাবৎ এখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। তবে ভবনটি কোন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে না।

আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিঙ্ক রোডের পাশে চাঁদমারী এলাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট অবস্থিত। দুই কোর্ট একত্রে থাকায় তা আইনজীবী এবং বিচার প্রার্থীদের জন্য সুবিধাজনক। কিন্তু পৃথক স্থানে কোর্ট দুইটির অবস্থান হলে তা কোনো ভাবেই আইনজীবীদের জন্য সুবিধাজনক হবে না। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, প্রায় একই সময় জজ কোর্ট ও ম্যাজিস্ট্রেটকোর্টের কার্যক্রম চলছে। দুই কোর্ট একত্রিত থাকায় একজন আইনজীবী একই সঙ্গে জজ কোর্ট এবং ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে গিয়ে তার মক্কেলের জন্য আইনি সেবা দিতে পারছেন। এদিকে নতুন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ভবন এই এলাকা থেকে দুই কিলোমিটার দূরে কালীরবাজার এলাকায় অবস্থিত। সেখানে যদি কোর্ট স্থানাস্তর করা হয়, তাহলে আইনজীবীরা কোনভাবেই এতো দূরে গিয়ে কার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে পারবেন না। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জ শহর যানজট প্রবণ এলাকা। এতে বিচার প্রার্থীরাও বিপাকে পড়বেন।

আইনজীবীরা বলছেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা পৃথক স্থানে দুইটি কোর্টের অবস্থান এর বিরোধিতা করেছেন। বর্তমানে যারা আইনজীবী সমিতির নেতৃত্বে রয়েছেন, তারাও দুই কোর্ট একত্রে রাখার পক্ষেই মতামত ব্যক্ত করেছেন।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার প্রধান বলেন,‘ দুইটি পৃথক স্থানে দুইটি কোর্টের অবস্থান কোনো ভাবেই আইন পেশায় জড়িত জেলার ১ হাজার ২০০ আইনজীবীর কাজকে সহজ করবেনা। বরং এতে করে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী উভয়ই বিপাকে পড়বেন। কারণ এটি বাস্তবায়িত হলে এক কোর্ট থেকে অন্য কোর্টের দূরত্ব হবে দুই কিলোমিটার। এ ব্যাপারে জেলা জজ, জেলা প্রশাসক,অন্তবর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা সহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে চিঠি দিয়ে দুই কোর্ট একত্র রাখতে আমাদের প্রস্তাবনা দিয়েছি।'

নারায়ণগঞ্জ গণপূর্ত কার্যালয়ের নির্বাহীপ্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন, ' আট তলাভবনটি ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৯ সালে এর নির্মাণ কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়। এরপর আমরাভবনটিকে বুঝে নিতে নারায়ণগঞ্জের জজশিপ কে চিঠি দিয়েছি। জজশিপ থেকে কয়েক বার উদ্যোগ নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তারা আর ভবনটি বুঝে নেয়নি। আইনজীবীদের অনাগ্রহের কারণে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন এখানে স্থানান্তর হচ্ছে না। ফলে ভবনটি ছয় বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।'

নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, 'আইনজীবীদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছেন। সেগুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

এ বিভাগের আরো খবর