হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে নির্মাণের আগে ফের ধসে পড়লো মডেল মসজিদের ছাদ। এ নিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই এমনটা হচ্ছে। শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এর আগে ৬ আগস্ট ওই মসজিদের ছাদ ধসে পড়েছিল।
জানা গেছে, সারা বাংলাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের অসংখ্য জেলা ও উপজেলায় মসজিদের কাজ সম্পন্ন করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
কিন্তু জেলার বানিয়াচং উপজেলার সামনে নির্মাণাধীন মডেল মসজিদটি নির্মাণে কালক্ষেপণ করছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএসএল এন্ড আলী (জেভি)। নির্মাণ সংস্থা হবিগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগ এবং বাস্তবায়ন সংস্থা ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মসজিদটি নির্মাণ হতে চলেছে।
মসজিদটির কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরে সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে দুই দুইবার ছাদ ধ্বসে পড়েছে।
বড় বাজারের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, দেশের অন্যান্য এলাকায় মসজিদের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। অথচ বানিয়াচংয়ে নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে কচ্ছপ গতিতে চলছে কাজ। ইতিমধ্যে দুইবার ছাদ ধ্বসে পড়েছে। দেখার যেন কেউই নেই।
বাবুর বাজারের আলী জানান, ছাদ ধ্বসের ঘটনাটি তদন্ত হওয়া উচিত। যদি নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে মসজিদটি নির্মিত হয়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে প্রাণঘাতি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
তদন্তের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে মডেল মসজিদ সরেজমিন পরিদর্শনকালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোন শ্রমিক বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ছাদ ধ্বসে পড়ার পর শ্রমিকরা পালিয়ে গেছেন বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম সাথী জানান, দুই দুইবার ছাদ ধ্বসে পড়ার ঘটনাটি তিনি জেলা প্রশাসককে জানিয়েছেন। এবং পরবর্তী নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তিনি।