বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গিজার জাদুঘরে ফারাও সম্রাটের নৌকা

  •    
  • ৮ আগস্ট, ২০২১ ১৫:২৯

বিশাল নৌকাটি স্থানান্তরের উদ্দেশ্যে তৈরি ধাতব একটি বাক্সে নৌকাটিকে আস্ত ঢোকানো হয়। এরপর বাক্সটি রিমোট নিয়ন্ত্রিত বিশেষ একটি যানে ওঠানো হয়। বেলজিয়াম থেকে আনা বিশেষ যানটি মাত্র সাড়ে সাত কিলোমিটার দূরে নতুন জাদুঘরে পৌঁছাতে সময় নেয় প্রায় ১০ ঘণ্টা। স্থানান্তরের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্নে সময় লেগেছে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা।

ফারাও রাজা খুফুর অব্যবহৃত ও ৪ হাজার ৬০০ বছরের প্রাচীন একটি নৌকার ঠাঁই হলো মিসরের একটি জাদুঘরে।

দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়াম নামের নতুন জাদুঘরটি।

মিসরের পুরার্কীর্তি মন্ত্রণালয় শনিবার জানায়, দেশটিতে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহত্তম কাঠের নৌকা এটি। এটি লম্বায় ১৩৮ ফুট বা ৪২ মিটার, ওজন ২০ টন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গ্রেট পিরামিডের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে ১৯৫৪ সালে প্রথম আবিষ্কার হয় ‘সোলার বোট’ হিসেবে পরিচিত নৌকাটি।

তখন থেকে কয়েক দশক গিজার মালভূমি এলাকায় একটি জাদুঘরে এটি রাখা ছিল। সিডার কাঠে তৈরি 'সোলার বোট' নৌকাটি যার ছিল, সেই খুফু ছিলেন প্রাচীন মিসরের চতুর্থ রাজবংশের সম্রাট।

প্রাচীন মিসরে রাজপরিবারের সদস্যদের সমাধিক্ষেত্রে থাকত এসব সোলার বোট। মৃত্যুর পরের জীবনে তারা এসব নৌকায় চড়ে চলাচল করবেন বলে বিশ্বাস করত প্রাচীন মিসরীয়রা।

কায়রোর উপকণ্ঠে, নীল নদের পশ্চিম তীরে অবস্থিত মিসরের দ্বিতীয় বৃহৎ শহর গিজা। গিজায় থাকা তিনটি পিরামিডের মধ্যে সবচেয়ে বড়টি, গ্রেট পিরামিড বা পিরামিড অফ চেওপসে আছে সম্রাট খুফুর সমাধি।

গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়ামের কর্মকর্তা আতিফ মুফতাহ জানান, বিশাল নৌকাটি স্থানান্তরের উদ্দেশ্যে তৈরি ধাতব একটি বাক্সে নৌকাটিকে আস্ত ঢোকানো হয়।

এরপর বাক্সটি রিমোট নিয়ন্ত্রিত বিশেষ একটি যানে উঠিয়ে নতুন জাদুঘরে নেয়া হয় নৌকাটিকে।

বেলজিয়াম থেকে আনা বিশেষ যানটি মাত্র সাড়ে সাত কিলোমিটার দূরে নতুন জাদুঘরে পৌঁছাতে সময় নেয় প্রায় ১০ ঘণ্টা।

নৌকাটিকে পুরোনো জাদুঘর থেকে নতুন জাদুঘরে নেয়ার পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্নে সময় লেগেছে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা।

গ্রেট পিরামিডের কাছে অবস্থিত নতুন জাদুঘরটি চালু হলে এটি মিসরের অন্যতম জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

১৭ বছর ধরে থেমে থেমে চলছে জাদুঘরটির নির্মাণকাজ। এক লাখের বেশি পুরাতাত্ত্বিক শিল্পকর্ম নিয়ে চলতি বছরই জাদুঘরটি চালু করার কথা প্রশাসনের।

চলতি বছরের এপ্রিলে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে নতুন এক জাদুঘরে স্থানান্তর করা হয় দ্বিতীয় রামেসিস ও রানী হাৎশেপসুৎসহ ফারাও রাজবংশের ২২ সদস্যের মমিকৃত সমাধি।

এ বিভাগের আরো খবর