বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায় চিত্রশিল্পী অরবিন্দ দাসগুপ্তের প্রয়াণ

  •    
  • ১৮ জুলাই, ২০২১ ১৪:২৪

সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমদ মিশু বলেন, অরবিন্দ দাশগুপ্ত কেবলমাত্র একজন গুণি চিত্রশিল্পীই ছিলেন না, তাকে সিলেট অঞ্চলের চিত্রশিল্পের পথিকৃতও বলা চলে। তিনি এই অঞ্চলের অসংখ্য তরুণকে চিত্র শিল্পের প্রতি আগ্রহী করে তুলেছেন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রবীণ চিত্রশিল্পী অরবিন্দ দাসগুপ্ত।

সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সত্তরোর্ধ্ব এই শিল্পী। সেখানেই রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় তার মৃত্যু হয়।

এ খবর নিশ্চিত করে অরবিন্দের ছেলে শিল্পী ইসমাইল গনি হিমন বলেন, সিলেটের চালিবন্দরের মহাশ্মশান ঘাটে রোববার দুপুরে তার শেষকৃত্য হবে।

১৯৭৬ সালে তৎকালীন ঢাকা আর্ট কলেজ (বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ) থেকে স্নাতক শেষ করে শিল্পচর্চায় মনোনিবেশ করেন অরবিন্দ।

শিক্ষাজীবন শেষে নিভৃতচারী এই শিল্পী রাজধানীর জৌলুস ছেড়ে নিজ জন্মস্থান সিলেটে থিতু হন। সেখানে থেকে নিজের শিল্পচর্চার চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তরুণদের ছবি আঁকায় আগ্রহী করতে গড়ে তুলেন ‘চারুকলি’ নামের প্রতিষ্ঠান।

১৯৫৩ সালের মার্চে জন্ম নেয়া অরবিন্দ দাসের এ পর্যন্ত তিনটি একক চিত্র প্রদর্শনী ও বেশ কয়েকটি যৌথ প্রদর্শনী হয়েছে।

হিমন জানান, গত ২৬ জুন অরবিন্দ দাসগুপ্তের করোনা শনাক্ত হয়। অবস্থার অবনতি হলে ২৭ জুন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে ভুগে অরবিন্দের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হতে থাকে। রোববার সকালে তিনি মারা যান।

সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমদ মিশু বলেন, অরবিন্দ দাশগুপ্ত কেবলমাত্র একজন গুণি চিত্রশিল্পীই ছিলেন না, তাকে সিলেট অঞ্চলের চিত্রশিল্পের পথিকৃতও বলা চলে। তিনি এই অঞ্চলের অসংখ্য তরুণকে চিত্র শিল্পের প্রতি আগ্রহী করে তুলেছেন।

মিশু বলেন, জীবনভর শিল্পে নিমগ্ন অরবিন্দ দাস নিজের জীবনের প্রতি ছিলেন চরম উদাসীন। ফলে সবসময়ই তাকে জীবিকার টানাপোড়েনে থাকতে হয়েছে। অসুখ-বিসুখও তার নিত্যসঙ্গী ছিল।

এ বিভাগের আরো খবর