মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, নজরুলের গান ও কবিতা রণাঙ্গনে সাহস ও শক্তি জোগাত।
জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের ১২২তম জন্মবার্ষিকীতে মঙ্গলবার সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। শ্রদ্ধা শেষে তিনি কবির রুহের মাগফিরাত কামনায় মোনাজাতে অংশ নেন।
কাদের বলেন, ‘কবি নজরুল ইসলাম ছিলেন প্রেম, দ্রোহ, মানবতা ও অসাম্প্রদায়িকতার কবি। তিনি আজকে নেই, কিন্তু সব সময় আমাদের জীবনে প্রাসঙ্গিক। তার প্রাসঙ্গিকতা কোনো দিনও হারিয়ে যাবে না।
‘আমরা আজকে শপথ নেব, দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক মানবতাবাদী বাংলাদেশ গড়ে তুলব। গণমানুষের প্রিয় এই কবির প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।’
সকাল সাড়ে ৭টায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ জাতীয় কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শ্রদ্ধা জানান।
এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বিএনপি, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ন্যাপ, বাসদসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে কবির জন্মবার্ষিকীতে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
১৮৯৯ সালের ২৪ মে (১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে কবি নজরুলকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। ১৯৭৬ সালে নজরুলকে দেয়া হয় বাংলাদেশের নাগরিকত্ব।
১৯৭৬ সালের (১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) ২৯ আগস্ট মৃত্যুর পর কবির ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে দাফন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যায় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে।