কাজী নজরুল ইসলাম সব সময় বিজয়ের গান গেয়েছেন উল্লেখ করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জাতীয় কবির কাছ থেকে পাওয়া যায় সংকট কাটিয়ে ওঠার প্রেরণা।
কবির ১২২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই দুর্যোগের সময়ে জাতীয় কবি নজরুল আমাদের কাছে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। কারণ, তিনি সব ঝড়-ঝঞ্ঝা দূর করার জন্য সব সময় বিজয়ের গান গেয়েছেন। সুতরাং এই দুঃসময়ের সংকটকে কাটিয়ে ওঠার জন্য কবি নজরুল আমাদের উদ্বুদ্ধ করেন।’
শ্রদ্ধা জানানো শেষে প্রতিমন্ত্রী কবির রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।
প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে নজরুলকে ভারত থেকে বাংলাদেশে আনতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রচেষ্টার বিষয়টি।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে আমরা নজরুলকে ভারত থেকে নিয়ে এসেছি। পরে তাকে জাতীয় কবির মর্যাদায় আসীন করা হয়।
‘আমাদের জাতীয় কবির আজকে জন্মদিন। এই দিনে আমাদের প্রার্থনা ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ এই পৃথিবীতে যেন শান্তি ফিরে আসে। বৈশ্বিক মহামারির হাত থেকে বিশ্ব এবং আমরাও যেন রক্ষা পাই, এটিও আমাদের প্রার্থনা।’
জাতীয় কবির বিখ্যাত কবিতা ‘বিদ্রোহী’র এবার শতবর্ষ। সে উপলক্ষে একটি সংকলন বের করার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “‘বিদ্রোহী” কবিতার শতবর্ষ উপলক্ষে শত প্রবন্ধ দিয়ে আমরা একটি সংকলন বের করতে যাচ্ছি। নজরুল ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনায় জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম স্যার এটির সম্পাদনা করছেন।’
খালিদ বলেন, ‘নজরুলকে গেজেট করা হয়েছে কী হয়নি, সে বিষয়ে আমরা খুব একটা ভাবছি না। সন্তানের প্রতি তার পিতা-মাতার ভালোবাসা তো আর গেজেট দিয়ে হয় না। আমরা নজরুলকে চিরন্তন হিসেবে, জাতীয় কবি হিসেবে গ্রহণ করেছি।’
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে প্রতিমন্ত্রী খালিদের ফুলেল শ্রদ্ধা দিয়েই শুরু হয় জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের জন্মদিন উদযাপন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান ফুল দেন। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বিএনপি, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ন্যাপ, বাসদসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।