ভারতের জি বাংলা বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার’। বাংলাদেশেও দারুণ জনপ্রিয় কমেডিবিষয়ক এই অনুষ্ঠানটির এবার ‘সিজন-১০’ চলছে।
এই সিজনের ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন বাংলাদেশের ছেলে আবিদুল ইসলাম রিমন। তবে ফাইনালিস্ট হয়েও গ্র্যান্ড ফিনালেতে অংশ নিতে পারছেন না তিনি।আজ রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় মীরাক্কেল’র সিজন-১০ এর গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হবে। শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার’ উপস্থাপনা করেন মীর আফসার আলী।রিমন আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমি মীরাক্কেলের ফাইনালের মঞ্চে বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে পারলাম না। ফাইনালে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারলাম না। এই আক্ষেপ আমার আজীবন থাকবে।’রিমনের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজারে। সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির এই শিক্ষার্থী এবারই প্রথমবারের মতো মীরাক্কেলে অংশ নিয়েছিলেন। এই রিয়েলিটি শো-তে বেশ কয়েকবার ‘রসিকরত্ন’ খেতাব জেতার পাশাপাশি সিজন-১০ এর প্রথম বাংলাদেশি প্রতিযোগী হিসেবে জিতে নেন ‘পারফর্মার অব দ্যা ডে’। নজরকাড়া পারফরম্যান্সে দুই দেশের দর্শক ও বিচারকদের মুগ্ধ করে উঠে গিয়েছিলেন ফাইনাল রাউন্ডে। স্বপ্ন দেখছিলেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার।কিন্তু সে স্বপ্ন আর পূরণ হলো না রিমনের। করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনে আটকা পড়ায় ভারতে গিয়ে আর এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারছেন না তিনি।রিমন জানান, কিছুদিন আগে বাবার মৃত্যুর কারণে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসি। এরপর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভারতে সঙ্গে স্থল ও বিমান যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ফলে ভারতে ফিরতে পারেননি তিনি।এ কারণে আবিদুল ইসলাম রিমনকে ছাড়াই আজ মীরাক্কেল সিজন-১০ এর গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হবে।নিজের আক্ষেপ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন আবিদুল ইসলাম রিমন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘ফাইনেলিস্ট হয়েও মীরাক্কেলের ফাইনেলে অংশগ্রহণ করতে পারলাম না। লকডাউনের জন্য বাংলাদেশ আটকে গেলাম। সেই সাথে শেষ হলো মীরাক্কেল মঞ্চে ফাইনাল খেলার স্বপ্ন। সুযোগ পেয়েও বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করার জন্য মীরাক্কেল মঞ্চে লড়তে পারলাম না। এই আক্ষেপটা সারাজীবন থাকবে। তবে যারা ফাইনাল খেলছে তাঁদের জন্য অনেক শুভ কামনা রইলো।’তিনি লেখেন, ‘আমি কৃতজ্ঞ জি বাংলা এবং টিম মীরাক্কেলের কাছে। আমাকে গ্র্যান্ড ফিনালে অংশগ্রহণ করানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। কিন্তু পরিস্থিতি অনুকূলে ছিলো না। তাই গ্র্যান্ড ফিনালে অংশগ্রহণ করার জন্য ভারত যেতে পারিনি।’রিমন লেখেন, ‘দুই বাংলার মানুষের কাছেও কৃতজ্ঞ। এত অল্প সময়ে আপনাদের এতটা ভালোবাসা পাবো ভাবিনি। পরিশেষে শুধু এইটুকু বলবো, আপনাদের ভালোবাসা এগিয়ে যাবার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।’‘সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এবং অবশ্যই মীরাক্কেলের ফাইনালটা দেখবেন। স্বশরীরে থাকতে না পারলেও অন্যভাবে থাকব ইনশাল্লাহ।’রিমন এরআগে এনটিভির রিয়ালিটি শো ‘হা-শো’তে অংশ নিয়ে প্রশংসা কুঁড়ান।