করোনাভাইরাসের কারণে অচলাবস্থা অনেকটা কেটে যাওয়ায় প্রায় সাত মাস পর খুলে দেয়া হলো ফ্রান্সের প্যারিসের ল্যুভর জাদুঘর। খুলে দেয়ামাত্রই সেখানে শ শ দর্শনার্থী এসে হাজির।
স্থানীয় সময় বুধবার খুলে দেয়া হয় ল্যুভরের গেটগুলো। এ সময় অনেক মানুষকে গেটের বাইরে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
খুলে দেয়ার খবর শুনেই বন্ধুদের সঙ্গে ল্যুভরে ঘুরতে আসেন ব্রিজিট দে লা তসে। সংবাদ সংস্থা ইএফইকে তিনি বলেন, ‘খুলে দেয়ার ঘোষণার খবর শুনেই আমরা টিকিট কিনি। গেল দিনগুলোতে আমরা এটাকে অনেক মিস করেছি।’
ল্যুভর বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম জাদুঘর। প্রতিবছর এখানে প্রায় ১ কোটি দর্শনার্থী আসেন। করোনাভাইরাস মহামারির সময়টাতে খুব বাজে সময় গেছে ল্যুভরের।
করোনার সংক্রমণ রুখতে লম্বা একটা সময় জনসমাগমস্থলগুলো বন্ধ রেখেছিল ফ্রান্স সরকার। ২০২০ সালে ল্যুভর জাদুঘর খোলা ছিল মাত্র চার মাস।
এর মধ্যে ফ্রান্সের করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। ধীরে ধীরে উঠিয়ে নেয়া হচ্ছে বিধিনিষেধগুলো। ফিরে আসছে স্বাভাবিক জীবন। এর অংশ হিসেবে বুধবার খুলে দেয়া হয়েছে জাদুঘর, থিয়েটার, রেস্টুরেন্ট, পানশালা, স্পার মতো জনসমাগমস্থলগুলোও।
ল্যুভর জাদুঘরের ভেতর প্রবেশে যেন তর সইছিল না ফ্রান্সে এক বছর ধরে পড়াশোনা করা দুই চায়নিজ শিক্ষার্থী লিও ইয়ুন ও তিয়ান জুপেইয়ের। এক দিন পরই দেশে ফিরে যাবেন তারা।
এমন মুহূর্তে ল্যুভরে প্রবেশের সুযোগ পেয়ে তারা বলছিলেন, ‘সত্যিকার অর্থেই এই জাদুঘরে আসতে পারাটা আনন্দের। দেশটিতে এটাই আমাদের শেষ দিন এবং এই প্রথম আমরা জাদুঘরটি খোলা পেলাম।’
স্বাস্থ্য সুরক্ষার অংশ হিসেবে ল্যুভরের দর্শনার্থীদের এখনও কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। টিকিট বুকিং দিতে হবে অনলাইনে। জাদুঘর ঘুরে দেখার পুরোটা সময় পরতে হবে মাস্ক।
শুধু ল্যুভর জাদুঘরই নয়, বুধবার থেকে খুলে দেয়া হয়েছে গ্রেভিন, পম্পিদো ও মুসি দ্য’ওরসে জাদুঘরও।