বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রিল থেকে দেয়াল, সবখানেই তারা নজরকাড়া

  •    
  • ১০ মে, ২০২১ ১২:৫৩

তারা এতটাই জনপ্রিয় ও সবার ভালোবাসার যে, মৃত্যুও তাদের ম্লান করতে পারেনি এতটুকু। সম্প্রতি হুমায়ুন ফরীদি, এটিএম শামসুজ্জামান ও দিলদারের তিনটি দেয়ালচিত্রের ছবি ফেসবুকে পোস্ট হওয়ার পর আলোচনায় আসে।

কাজ করতেন রিলের জগতে অর্থাৎ সিনেমায়। ফ্রেমে বন্দি ছিল জীবন। এখন তাদের জীবনে নেই কোনো গণ্ডি। মিলে গেছেন অসীমে। হুমায়ুন ফরীদি, এটিএম শামসুজ্জামান ও দিলদার- তিন অভিনয়শিল্পীই মারা গেছেন।

যত দিন পর্দায় ছিলেন, সবার নজর কেড়েছেন। তাদের অভিনয় মাইলফলক হয়ে আছে দেশের সিনেমা ইতিহাসে। তারা কেউ না থাকলেও যেখানেই তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকে, সেই কাজটিই সবার নজর কাড়ে।

তারা এতটাই জনপ্রিয় ও সবার ভালোবাসার যে, মৃত্যুও তাদের ম্লান করতে পারেনি এতটুকু। সম্প্রতি হুমায়ুন ফরীদি, এটিএম শামসুজ্জামান ও দিলদারের তিনটি দেয়ালচিত্রের ছবি ফেসবুকে পোস্ট হওয়ার পর আলোচনায় আসে।

এসব দেয়ালচিত্র করা হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ক্যাম্পাসের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের কাছে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের জন্য ব্যবহৃত ঘরের দেয়ালে আঁকা হয়েছে বাংলা চলচ্চিত্রাঙ্গনের এই তিন কিংবদন্তি অভিনেতার দেয়ালচিত্র।

কাজটি করেছেন আবদুল্লাহ মামুর। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল ইটের সুন্দর দেয়ালগুলো রাজনৈতিক লেখনী, বিভিন্ন পোস্টার আর স্প্রে রঙে ভরে থাকত। দেয়ালগুলোকে দৃষ্টিনন্দন করতেই আমার এই উদ্যোগ।’

হুমায়ুন ফরীদির দেয়ালচিত্রের সামনে ছবি তুলছেন এক দর্শনার্থী। ছবি: নিউজবাংলা

বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষ থেকেই মামুর করছেন দেয়ালচিত্র। আগের আরও অনেক কাজের মতো ফরীদি, এটিএম ও দিলদারের দেয়ালচিত্রটি নজর কেড়েছে দর্শনার্থীদের। ছবির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন তারা।

দেয়ালচিত্র আঁকছেন দুজন শিল্পী। ছবি: সংগৃহীত

মামুর নিজ উদ্যোগেই রাঙিয়ে তুলছেন দেয়ালগুলোকে। এ নিয়ে তেমন সমস্যার মধ্যে পড়েননি এখনও। তিনি বলেন, ‘কিছু শিক্ষক বলেছেন, ভালো ব্যাপারটা। অন্যদের কোনো মাথাব্যথা নেই আর কী। মানে তারা বাধাও দেয় নাই আর করতে উৎসাহও দেয় নাই।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রী ছাউনিতে দেয়ালচিত্র। ছবি: নিউজবাংলা

এই কাজের অর্থের জোগান নিজেই দিচ্ছেন মামুর। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের সিনিয়র, জুনিয়র, বন্ধুরা নানাভাবে এগিয়ে এসেছেন বিভিন্ন সময়। এই শিল্পী মনে করেন, দেয়ালচিত্র বেশি দিন থাকার দরকার নেই। মাঝে মাঝেই নতুন কিছু হোক।

ঘনাদা, টেনিদা আর ফেলুদাকে নিয়ে দেয়ালচিত্র। ছবি: নিউজবাংলা

তিন কিংবদন্তি অভিনেতা ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দেয়ালে রয়েছে মামুরের আঁকা চিত্র। ট্রান্সপোর্টে যাত্রী ছাউনির পিছনে ঘনাদা, টেনিদা আর ফেলুদা; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের দেয়ালে আঁকা হয়েছে জাতির পিতার প্রতিকৃতি। বিভিন্ন স্থানের যাত্রী ছাউনি এবং অনুষদের ভিতর ও বাইরের দেয়ালে আঁকা হয়েছে দেয়ালচিত্র।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে আঁকা চিত্র। ছবি: সংগৃহীত

মামুরের সঙ্গে বিভিন্ন সময় বিভিন্নজন এঁকেছেন এসব দেয়ালচিত্র। তবে অপর্ণ অধিকারী সিক্তর নাম বিশেষ করে উল্লেখ করেন তিনি।

পরিকল্পনা জানিয়ে মামুর বলেন, ‘প্রত্যেকটা জেলা শহরে আমার আঁকার ইচ্ছা আছে। এ ছাড়া পর্যটন স্পট যেমন, সেন্টমার্টিন, বান্দরবানের মতো কিছু জায়গায় কাজ করতে চাই।’

এ বিভাগের আরো খবর