বিস্ময়কর রাজত্বের অবসানের প্রায় চার হাজার বছর পর আবার মিশরের রাজপথে এলেন ফারাও সম্রাট ও সম্রাজ্ঞীরা।
ফারাও শাসনামলে শোভাযাত্রাগুলো কেমন ছিল, সেটি কেবল অনুমানই করা সম্ভব। তবে এই যুগে জমকালো আয়োজন বলতে যা বোঝায়, তার সবই ছিল সেখানে।
পদযাত্রায় অংশ নেয়া রাজা-রানীর মধ্যে ছিলেন রাজা দ্বিতীয় রামজেজ, রাজা সেকনেন রা, রাজা তৃতীয় তুথমোজিজ, রাজা প্রথম সেতি, রানী হাতশেবুত, রানী মেরিত আমুন, রাজা প্রথম আমেনহোটেপের স্ত্রী, রানী আহমোজ-নেফেরতারি ও রাজা আহমোজের স্ত্রী।
কিংবদন্তির এই শাসকরা চার হাজার বছর পরেও তাদের পূর্ণ অবয়ব নিয়ে শুয়ে আছেন দেশটির জাদুঘরে।
এতদিন মমিগুলো রাখা ছিল রাজধানী কায়রোর এক প্রান্তে। সেগুলো স্থানান্তর করা হয়েছে মহানগরের ফুসতাত এলাকায় স্থাপিত নতুন জাদুঘরে।
সম্রাটের এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যাত্রা সাধারণ হতে পারে না। এই স্থানান্তরই যেন তার প্রমাণ।
পুরো আয়োজনে ব্যয় হয়েছে কয়েক মিলিয়ন ডলার।
কায়রোর রাস্তা দিয়ে সারি সারি করে চলবেন দেশটির কয়েকশো বছর আগের শাসকেরা, এই অভিজ্ঞতা নিতে আয়োজনে দর্শনার্থীদের উপস্থিতির কমতি ছিল না।
জাঁকজমকপূর্ণ ও ব্যয়বহুল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতার ১৮ রাজা ও চার জন রানির অক্ষতপ্রায় এসব মমি নিয়ে যাওয়া হয় ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ইজিপশিয়ান সিভিলাইজেশনে।
এ সময় ২১ বার গান স্যালুট দিয়ে তাদের স্বাগত জানান মিসরের প্রেসিডেন্ট জেনারেল সিসি।
মমিবাহী প্রতিটি গাড়ি সুন্দর করে সাজানো হয়। রাস্তায় চলার পথে এগুলো যাতে ঝাঁকুনি না খায় সেজন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ইউনেস্কো ও বিশ্ব পর্যটন সংস্থার প্রধানরাও নতুন জাদুঘর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ফারাও রাজা দ্বিতীয় রামজেজের মমি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, পদযাত্রার অন্যতম আকর্ষণ ছিল মিসরের নিউ কিংডমের সবচেয়ে বিখ্যাত ফারাও রাজা দ্বিতীয় রামজেজ। ৬৭ বছরের শাসনামলে তিনিই প্রথম শান্তিচুক্তিতে সই করেছিলেন।
মিসরের প্রাচীন রাজধানী থিবসের ধ্বংসাবশেষ থেকে ১৮৮১ ও ১৮৯৮ সালে মমিগুলো আবিষ্কার করা হয়।