অমর একুশে বইমেলায় জাতীয় প্রেসক্লাব তাদের সদস্যদের বই প্রকাশ ও পাঠকদের সাথে মেলবন্ধনের উদ্দেশে প্রথমবারের মত স্টল দিয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ফিতা কেটে স্টলের উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান।
একই সময়ে মন্ত্রী ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্টল উদ্বোধন করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতি যখন ইতিহাসের একটি মাহেন্দ্রক্ষণ অতিক্রম করছে, যখন ইতিহাসের মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, বাংলাদেশের মহান স্থাপতি, বাঙালি জাতির শিক্ষক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শতজন্মবার্ষিকীতে প্রেসক্লাব প্রথমবারের মত তাদের স্টল দিয়েছে। আমি তাদেরকে সাধুবাধ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন প্রথম এই ইতিহাস রচনা করলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের ইতিহাসে ভোটযুদ্ধে প্রথম নারী সভাপতিও তিনি। তার এই উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। সাংবাদিকরা সব সময় খবর লেখেন। এদের মধ্যে অনেকেই সৃজনশীল লেখাও লেখেন। এই স্টল থাকায় সেই লেখকদের সঙ্গে পাঠকদের যুক্ত হওয়ার একটি সুযোগ সৃষ্টি হল।
ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, সাংবাদিক ভাই ও বন্ধুরা যারা লেখালিখি করেন তাদের সাথে সাধারণ মানুষের মেলবন্ধনের জন্যই এই উদ্যোগ। প্রেসক্লাবের সাথে মানুষের সংযোগ এতে আরও বাড়বে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সদস্যরা যারা বই লেখেন, অনেক কবি ও প্রকাশকও আছেন যারা নিয়মিত লেখালিখি করেন ও বিভিন্ন প্রকাশনা থেকে তাদের বই বের হয়। তারা যেনো এখানে এসে সহজে পাঠকদের সাথে মেলবন্ধন তৈরি করতে পারে সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য। যতদিন মেলা চলবে আমরা প্রতিদিন সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করব। ’
উদ্বোধনের সময় অতিথিরা প্রতিমন্ত্রীর হাতে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে প্রকাশিত এবং রেজোয়ানুল হক সম্পাদিত গ্রন্থ ‘রক্তে গাঁথা বর্ণমালা’ উপহার দেন।
প্রেসক্লাবের স্টল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনসহ ও অন্য সাংবাদিকরা। অন্যদিকে ডিআরইউর স্টল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী, ওসমান গনি বাবুল, আরাফাত দারিয়া মাইদুল হাসান সোহেলসহ আরও অনেকে।