অমর একুশে বইমেলায় লিটল ম্যাগাজিন চত্বর নিয়ে বাংলা একাডেমির বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ এনে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন শুরু করেছেন লিটলম্যাগ কর্মী-সম্পাদকরা।
লিটলম্যাগের স্টল আগের জায়গায় ফিরিয়ে নেয়ার দাবিতে মেলায় মিছিলও করেছেন তারা।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার দুপুরের পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পূর্বপাশে লিটলম্যাগের জন্য বরাদ্দ করা স্টলে একটি বড় ব্যানার টাঙ্গানো অবস্থায় দেখা যায়।
সেখানে লেখা রয়েছে, লিটলম্যাগ চত্বর গত বছরের জায়গায় স্থাপনের দাবিতে এবং বাংলা একাডেমির বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে ২১ মার্চ থেকে সকল স্টল বন্ধ থাকবে।
আগের জায়গায় স্টল বরাদ্দের দাবিতে বইমেলায় মিছিল করেছেন লিটলম্যাগের কর্মী-সম্পাদকেরা। ছবি: নিউজবাংলা
এর আগের বইমেলায় লিটলম্যাগের স্টলের জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে। এবার স্টলের জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে উদ্যানের পূর্বপাশে রমনা কালী মন্দিরের দিকে। এ নিয়ে বইমেলার শুরু থেকে অসন্তোষ জানিয়েছে আসছিলেন লিটলম্যাগ সংশ্লিষ্টরা।
লিটলম্যাগ কহরদরিয়ার সম্পাদক লিয়াকত বখতিয়ার বলেন, ‘আগের জায়গা ফিরিয়ে না দেয়া পর্যন্ত আমরা লিটলম্যাগের প্রদর্শনী ও বিক্রি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তার দাবি, আগের জায়গা থেকে সরিয়ে অনেকটাই মেলার বাইরে রাখা হয়েছে লিটলম্যাগ চত্বরকে।
লিয়াকত বখতিয়ার বলেন, ‘বাংলা একাডেমি প্রায়ই লিটলম্যাগের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ করে। অথচ এটি তরুণ লেখকদের লেখা প্রকাশের মাধ্যম।’
এবার বইমেলায় লিটলম্যাগের ১৪৫টি স্টল রয়েছে। মেলায় ঘুরতে আসা অনেকেই নতুন লিটলম্যাগ চত্বরে গিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
আল আমিন সজল নামে এক পাঠক বলেন, ‘লিটলম্যাগ ছাড়া এই প্রজন্মের কাছে বইমেলা অসম্পূর্ণ। এই চত্বর দ্রুত খুলে দেয়া হোক।’
লিটলম্যাগ সম্পাদকদের অভিযোগ ও দাবির বিষয়ে জানতে বাংলা একাডেমির মহপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী ও সচিব এ এইচ এম লোকমানকে মোবাইলে ফোন করা হলেও তারা সাড়া দেননি।
পরে বাংলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক অপরেশ কুমার ব্যানার্জী নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিয়ে একাডেমির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক (বিক্রয়. বিপণন ও পুনর্মুদ্রণ) ড. জালাল আহমেদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
তবে তাকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।