বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বইমেলার প্রথম দিনে শুধু দর্শনার্থী

  •    
  • ১৮ মার্চ, ২০২১ ২১:২৭

অধিকাংশ স্টল প্রস্তুত হয়নি। স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে ঢিমেতালে। স্টলের কর্মীদের কারও মুখে মাস্ক আছে, কারও নেই।

অমর একুশে গ্রন্থমেলার কথা উঠলেই চোখে ভেসে ওঠে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বই আর মানুষের ভিড়ের চিত্র। তবে এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন।

করোনা পরিস্থিতির কারণে মেলা হবে কি না সেই জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে শেষমেশ ৩৭ তম বইমেলা শুরু হলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি এই মেলার উদ্বোধন করেন।

তবে মেলার অধিকাংশ স্টল প্রস্তুত হয়নি। প্রথম দিন মেলায় দর্শনার্থীর ভিড় দেখা গেছে।

মেলা ঘুরে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে ঢিমেতালে। স্টলের কর্মীদের কারও মুখে মাস্ক আছে, কারও নেই। অনেকেই স্টল সাজাতে ব্যস্ত।

স্টলের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুরুর দিন এমনই থাকে প্রতিবার। তবে করোনার কারণে এবার অনেকেই হয়তো মেলায় আসবে না। হঠাৎ করে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এমন আশঙ্কা করছেন তারা।

অন্যপ্রকাশের একজন কর্মী বলেন, তারা এখনও গুছিয়ে উঠতে পারেননি। তবে বুধবার রাতের মধ্যেই শেষ করে ফেলবেন।

অন্যপ্রকাশের মতো অনেক ছোট-বড় প্রকাশনী এখনও তাদের স্টল গুছিয়ে নিতে পারেনি।

মেলায় ঘুরতে আসা তাসনুভা তাহসিন নিউজবাংলাকে বলেন, এতদিন করোনার কারণে বাসা থেকে বের হওয়ার কোনো উপলক্ষ পাননি। বইমেলা সে ক্ষেত্রে অনেক বড় একটা প্ল্যাটফর্ম। বই কেনা ও দেখার পাশাপাশি একটু ঘোরাও হবে।

মেলায় ঘুরতে আসা নাজমুল্লাহ সাকিব বলেন, ‘বই কিনব আরও পরে। মাত্র মেলা শুরু হয়েছে। এখন দেখতে এসেছি। তবে মনের মতো লেখক ও বই পেলে কিনে ফেলতে পারি।’

আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বইমেলা প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। শুক্রবার ও অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনে বেলা ১১টা থেকে ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলার তিনটি প্রবেশপথ।

বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, এবার বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুট জায়গায়।

তিনি বলেন, ৫৪০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানের ১৫৪টি এবং উদ্যান অংশে ৪৩৩টি প্রতিষ্ঠানের ৬৮০টি ইউনিট রয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, মেলায় ৩৩টি প্যাভিলিয়ন থাকবে। এবার লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে উদ্যানের মূল মেলা প্রাঙ্গণে। সেখানে ১৩৫টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দের পাশাপাশি ৫টি উন্মুক্ত স্টল দেয়া হয়েছে।

প্রতিবারের মতো এবারও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চ করা হয়েছে বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউসের দক্ষিণের মাঠে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালা ও বইয়ের মোড়ক উন্মোচন এখানে হবে।

নাজমুল জানান, প্রথম দিন কোনো নতুন বই আসেনি। তবে তারা আশা করছেন দ্বিতীয় দিন থেকে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হবে।

২০১৪ সাল থেকে বইমেলার পরিসর বাড়িয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্প্রসারণ করা হয়।

বাংলা একাডেমির তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ২০২০ সালে বইমেলায় নতুন বই বিক্রি হয়েছিল ৪ হাজার ৯১৯টি। আর ২০২০ সালে মেলায় বই বিক্রি থেকে মোট আয় হয়েছিল ৮০ কোটি টাকা।

মেলায় নতুন সংযোজন

এবার বইমেলার মূল থিম বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। জাতির পিতার জীবন ও কর্ম অধ্যয়ন এবং স্বাধীনতার মর্মবাণী জাতীয় জীবনে যাতে প্রতিফলিত হয় তার ওপর বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে।

মেলার বিন্যাসে মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিনটি প্রবেশপথ থাকবে। তিনটি প্রবেশপথ বিবেচনায় রেখে স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলো এমনভাবে বিন্যাস করা হয়েছে যাতে কোনো এলাকা প্রান্তিক বা অবহেলিত বলে প্রতীয়মান না হয়।

দীর্ঘদিনের দাবির বাস্তবায়ন হয়েছে রমনা প্রান্তে একটি প্রবেশপথ ও পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে।

ঝড়ের আশঙ্কা থাকায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। বৃষ্টি ও ঝড়ের আশঙ্কা বিবেচনায় রেখে উদ্যানে চারটি জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

এবার বৃষ্টির পানি মেলা প্রাঙ্গণ থেকে দ্রুত নিষ্কাষণের ব্যবস্থা থাকবে। লেখক বলছি মঞ্চ ও গ্রন্থ উন্মোচনের স্থান বিশেষভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। নামাজের ঘর, টয়লেট ব্যবস্থা সম্প্রসারিত ও উন্নত করা হয়েছে।

নারীদের জন্য সম্প্রসারিত নামাজের ঘর থাকবে। পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কাছে একটি ব্রেস্টফিডিং কর্নার থাকবে। প্রতি বছরের মতো এবারও হুইলচেয়ার সেবা থাকবে। তবে গতবারের চেয়ে বেশি সংখ্যায় স্বেচ্ছাসেবী এ-কাজে নিয়োজিত থাকবেন। এবার হুইলচেয়ারের সংখ্যা বাড়বে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে দুটি ফুডকোর্ট থাকবে।

এ বিভাগের আরো খবর