নব্বই দশকের অন্যতম কবি শামীম রেজার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে ৮ মার্চ বিকেল ৪ টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আয়োজন করা হয়েছে সংবর্ধনা-সভা। শামীম রেজা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন পর্ষদ এটি আয়োজন করছে। সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন পর্ষদের সদস্য সচিব কথাসাহিত্যিক হামীম কামরুল হক বলেন, 'আয়োজনে কবি শামীম রেজার কীর্তিময় জীবনের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হবে, যেটি নির্মাণ করেছেন হারুন অর রশীদ। আয়োজনে সংগীত পরিবেশন ও কবিতাপাঠ ছাড়াও আছে শুভেচ্ছা পর্ব, যেখানে সাহিত্যাঙ্গনের অনেকেই কবিকে শুভেচ্ছা জানাবেন।'কবি শামীম রেজার জন্ম ৮ মার্চ, ১৯৭১ সালে, বরিশালের ঝালকাঠি জেলার বিষখালী নদীর কোলঘেঁষা থানা কাঠালিয়ার জয়খালি গ্রামে, মামাবাড়িতে। সাউদপুর ও রাজাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়েছেন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক। বরিশালের বিএম কলেজে উচ্চমাধ্যমিক শেষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘নিম্নবর্গের মানুষ : বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলার কবিতা-তুলনামূলক আলোচনা’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য পিএইচডি অর্জন করেছেন তিনি। সম্পাদনা করেছেন লিটলম্যাগ ‘ধানসিড়ি’।
জীবিকার শুরুতে বেশ অনেকটা বছর কেটেছে কয়েকটি দৈনিক সংবাদপত্রের দায়িত্বপূর্ণ পদে। ছাত্র অবস্থায় সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে আজকের কাগজের ‘সুবর্ণরেখা’ সম্পাদনা ও দৈনিক কালের কণ্ঠের ‘শিলালিপি’ সম্পাদনা করেছেন দীর্ঘদিন। ২০০৩ মে থেকে নভেম্বর ২০১১ পর্যন্ত ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগে শিক্ষকতা শেষে ডিসেম্বর ২০১১ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে যোগদান করেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট’। এখন তিনি ইনস্টিটিউটটির পরিচালক।
‘যখন রাত্তির নাইমা আসে সুবর্ণনগরে’ কাব্যগ্রন্থের জন্য সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় প্রবর্তিত ‘কৃত্তিবাস’ পুরস্কার লাভ করেছেন ২০০৭ সালে। লেখালেখির প্রয়োজনে গিয়েছেন ভারত, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, ইতালি, চেক রিপাবলিক ও পর্তুগাল।