বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী: নির্যাতিত এক নারীর শিল্পীসত্ত্বা

  • জাহিদুল ইসলাম জিন্নাহ্   
  • ৬ মার্চ, ২০২১ ০০:০০

ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীই প্রথম নারী যিনি স্বাধীনতা-উত্তরকালে সামাজিক চোখ রাঙানীকে উপেক্ষা করে জনসমক্ষে যুদ্ধকালীন নির্যাতনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। পরবর্তীতে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহ-সভানেত্রী হিসেবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে কাজ করেছেন। ২০০১ সালে জাপানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নেন। ২০০৪ সালে রিডার্স ডাইজেস্ট পত্রিকায় তিনি ‘হিরো অব দি মান্থ’ মনোনীত হয়েছিলেন।

সময়টা ১৯৪৭ এর ফেব্রুয়ারি। খুলনা জেলার ডাকবাংলো মোড়ের দৃষ্টিনন্দন এক বাড়ি ‘ফেইরি কুইন’। সেই বাড়িতেই ১৯ তারিখ জন্ম হয় একটি কন্যা সন্তানের। রওশন হাসিনা ও সৈয়দ মাহবুবুল হক’র প্রথম সন্তান। এই কন্যা সন্তানটিই ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী নামে পরবর্তীতে জড়িয়ে যান বাংলাদেশের ইতিহাসের নানান অধ্যায়ের সাথে।

যে ‘ফেইরি কুইন’ বাড়িতে জন্ম প্রিয়ভাষিণীর সে বাড়িটি ছিলো মূলত তাঁর নানার বাড়ি। প্রিয়ভাষিণীর ব্যক্তি ও শিল্পী জীবনে তাঁর নানা বাড়ির প্রভাব অপরিসীম। এই বাড়িটিতেই কেটেছে শৈশব-কৈশোরের মধুর দিনগুলো। প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে একাত্ম হবার প্রথম সুযোগটি ঘটে এখানেই। ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর নানা এ্যাডভোকেট আব্দুল হাকিম কংগ্রেসের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৫২ সালে তার নানা সুপ্রিম কোর্টে কাজ করার জন্য চলে আসেন ঢাকায়। প্রিয়ভাষিণীও নানার পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় আসেন। তখন তাঁর বয়স সবে মাত্র পাঁচ বছর। জীবনে প্রথমবারের মতো স্কুলে যাওয়া শুরু করেন। টিকাটুলির ‘নারী শিক্ষা মন্দির’ তার প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের শাসনামলে তার নানা স্পীকার হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। নানা স্পীকার হওয়ার সুবাদে তারা চলে আসেন মিন্টু রোডের এক বাসায়। এবার প্রিয়ভাষিণী ভর্তি হন সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুলে। শহীদ জননী জাহানারা ইমাম তখন ছিলেন সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। পরীক্ষায় ফলাফল যাই হোক না কেন নিয়মিত স্কুলে উপস্থিত থাকার জন্য প্রিয়ভাষিণী প্রতিবছরই পুরস্কৃত হতেন। লেখাপড়ার প্রতি অদম্য টান বা স্কুলের প্রতি বিশেষ ভালো লাগা এসব কোনও বিষয়ই কিন্তু তাকে রোজ স্কুলে টেনে নিয়ে আসতো না। কারণটি ছিলো সম্পূর্ণ অন্যকিছু। প্রিয়ভাষিণী জাহানারা ইমামকে না দেখে একটা দিনও থাকতে পারতেন না। তাই তাকে দেখার জন্যই প্রতিদিন নিয়ম করে স্কুলে যেতেন তিনি।

স্কুলের পাশাপাশি প্রিয়ভাষিণী পারিবারিকভাবে একটি শিল্প-সাংস্কৃতিক পরিবেশের মাঝে বেড়ে উঠেছেন। সেই সাথে পেয়েছেন খালাদের কঠোর অনুশাসন। বড় মামা নাজিম মাহমুদ নাটক ও গান লিখতেন, সেইসাথে নিজে গান ও আবৃত্তিও করতেন। মেজ মামা সেলিম বুলবুলও গান করতেন। তবলার উপর একটা বইও রয়েছে তাঁর। আর খালারাও ছিলেন আবৃত্তি ও গানে পটু। কাজেই স্বাভাবিকভাবেই তাদের মননশীলতার ছোঁয়া প্রিয়ভাষিণীকেও করেছিলো আলোড়িত। সেই ছোটবেলা থেকেই আবৃত্তি আর গানের প্রতি তাঁর একধরণের ঝোঁক তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ করেই সবকিছু ছেড়ে তাকে চলে আসতে হয়। ১৯৫৬ সালের দিকে নয় বছর বয়সে প্রিয়ভাষিণীকে চলে আসতে হয় বাবার কাছে। তাঁর বাবা তখন খুলনার দৌলতপুর কলেজের অধ্যাপক। যদিও তাঁর দাদার বাড়ি ফরিদপুর শহরের চর কমলাপুর রোডে। কিন্তু দাদার বাড়ির সাথে কখনোই তেমন কোনও সখ্যতা গড়ে ওঠেনি তাঁর। দাদা সৈয়দ জহুরুল হক ছিলেন বড় লাটের ‘কেয়ার টেকার’। দাদার চিন্তাভাবনাও ছিলো তৎকালীন ইউরোপীয় সাহেবদের দ্বারা প্রভাবিত। তিনি বাড়িটিও তৈরি করেছিলেন ইউরোপীয় ঢঙে। বাবার কর্মস্থল দৌলতপুরে এসে তিনি ভর্তি হন ‘বীণাপানি’ পাঠশালায়। পাঠশালার সেই দিনগুলোর স্মৃতি তার জীবনে শেষ পর্যন্ত অম্লান হয়ে ছিলো। পাঠশালার বেঞ্চ আর বাঁশের খুঁটিতে লেখা থাকতো টুকরো টুকরো নানান অর্থহীন কথা। এর সবই পরবর্তীতে তাঁর করা ভাস্কর্য ‘বীনাপানি পাঠশালা’তে ঠাঁই পেয়েছে।

বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত বড় লালটিপে মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী

পারিবারিক ও সামাজিক নানান সমস্যার মধ্যেও অনিয়মিত হিসেবে তিনি খুলনার পাইওনিয়ার গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি এবং গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি ও ডিগ্রি পাস করেন। বাবা মায়ের ১১ সন্তানের মধ্যে প্রিয়ভাষিণীই সবার বড়। বয়সে বড় হওয়ায় মায়ের কাজে সহযোগিতা করতে, ছোট ভাইবোনকে সামলে রাখতে হতো তাকেই। আর এ কারণে প্রায়ই মাটি হয়ে যেত তার বিকেলের খেলা। তবে পুতুল খেলা কামাই হতো না কখনও। পাড়ার মেয়েদের সঙ্গে দুপুরের নির্জন সময়ে মেতে উঠতেন পুতুল খেলায়। বর-কনে সাজিয়ে রীতিমত ঘটা করে দিতেন পুতুলের বিয়ে। প্রিয় পুতুল মঞ্জুরিকাকে নিয়ে অনেক সময় বানিয়ে বানিয়ে গল্পও বলতেন।

খুব ছোটবেলা থেকেই অনেক মহৎ মানুষদের সান্নিধ্যে আসতে পেরেছিলেন তিনি। অম্লান দত্ত, কবি সুফিয়া কামাল, এস.এম.সুলতান থেকে শুরু করে খান সরওয়ার মুর্শিদ, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী ছাড়াও আরো অনেকের নৈকট্য লাভ করেছেন ছোটবেলাতেই। কিন্তু এতো কিছুর পরও বাবার কঠিন শাসনে হাঁপিয়ে উঠত প্রিয়ভাষিণীর মন। মনে মনে ভাবতেন কবে ষোল বছর পূর্ণ হবে, কবে স্বাধীন হবেন তিনি। এই স্বাধীনতার লোভেই হয়তো মাত্র ষোল বছর বয়সে জীবনে প্রথমবারের মতো ভুল করে ভুল মানুষের প্রেমে পড়ে যান। প্রিয়ভাষিণী নিজেই যার নাম দিয়েছিলেন ‘ষোড়শ সমস্যা’। এই ‘ষোড়শ সমস্যা’য় পড়ে তিনি ওই অল্প বয়সেই পছন্দের মানুষকে বিয়ে করেন। কিন্তু তার স্বামীর ছিলোনা কোনও শিক্ষাগত যোগ্যতা। ‘যে মানুষকে ভালোবাসা যায় তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই বলে তাকে ছেড়ে যাওয়া নৈতিক নয়’ এই ভাবনা থেকে প্রিয়ভাষিণী তাকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। পরিবারের খরচ, সন্তানের খরচ সেই সাথে স্বামীর খরচ- সব মিলিয়ে তীব্র অর্থ কষ্টে জীবন চলছিলো তাঁর। তাই প্রিয়ভাষিণী সিদ্ধান্ত নেন চাকুরি করার। ১৯৬৩ সালে খুলনার আঁগা খান স্কুলে মাত্র ৬০ টাকা বেতনে চাকুরি জীবন শুরু করেন। ২০/৩০ টাকা বেতনে তিন/চারটা টিউশনিও জোগাড় করেন। এতকিছুর পরেও সংসারটা বাঁচাতে পারেননি তিনি। ১৯৭১ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায় প্রথম স্বামীর সঙ্গে। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর যুদ্ধের সেই ভয়াবহতার মাঝে একজন নারী হয়েও তিনি সন্তানদের নিয়ে নতুন জীবন শুরু করার কথা ভাবেন। কিন্তু এর মাঝে তার জীবনে নেমে আসে চরম এক বিপর্যয়। ১৯৭১ সালে এদেশের লক্ষ লক্ষ মেয়েদের মতো তিনিও অমানবিক নির্যাতনের শিকার হন পাক হানাদার বাহিনীর। যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে প্রিয়ভাষিণী আবারও বিয়ে করেন। তার দ্বিতীয় স্বামী আহসান উল্লাহ আহমেদ ছিলেন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা। স্বামী, সন্তান, সংসার সামলিয়ে মাঝে কিছু বছর কর্মবিরতির পর ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি একটানা কাজ করে গেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। এতোকিছুর মাঝে পরম যত্নে বড় করে তুলেছেন ছয় সন্তানকে। বড় ছেলে কারু তিতাস, মেজ ছেলে কাজী মহম্মদ নাসের, ছোট ছেলে কাজী মহম্মদ শাকের (তূর্য্য)। তিন মেয়ে-রাজেশ্বরী প্রিয়রঞ্জিনী, রত্নেশ্বরী প্রিয়দর্শিনী, ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনী।

জীবনের তীব্র বঞ্চনাবোধ থেকেই বের হয়ে এসেছে তাঁর যাবতীয় শিল্পকর্ম বলে মনে করেন প্রিয়ভাষিণী। ১৯৭৭ সালে তিনি নিজেকে নতুন করে ফিরে পেলেন। উপলব্ধি করলেন, কিছু একটা করতে হবে। আর সেকারণেই তিনি সেসময় নিজেকে নানান কাজে ব্যস্ত রাখা শুরু করলেন। কিন্তু হাজার কিছুর ভীড়েও একাকিত্বের একটা বোধ তাকে পেয়ে বসতো মাঝেমধ্যেই। প্রকৃতির মাঝে যে মৌনতা আছে, যে একাকিত্ব আছে তাই আবার বহুকাল পরে তাঁকে টেনে নিল। প্রকৃতির বিষন্নতা, মোহময়তা তাঁর মাঝে নানা ছবি গড়ে তুলতে শুরু করলো। তখনই তিনি ঝরা পাতা, মরা গাছের ডাল আর গাছের গুড়িতে খুঁজে পেলেন নানান অবয়ব। স্বামীর চাকরির কারণে যখন তিনি গ্রামে থাকতেন তখন চারপাশের প্রকৃতিতে যা কিছু পেতেন তাই দিয়ে তিনি সুন্দর করে ঘর সাজাতে চেষ্টা করতেন। তখন ফুলের টবে গাছ লাগাতেন সুন্দর করে। মূলত ঘর ও নিজেকে দামী জিনিসের পরিবর্তে সহজলভ্য জিনিস দিয়ে কীভাবে সাজানো যায় তার সন্ধান থেকেই তাঁর শিল্পচর্চার শুরু। ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর শিল্পকর্ম দেখে সেসময় অনেকেই মুগ্ধ হতেন। এরকমই এক সময়ে তার জীবনে আরেকবার উদয় হন শিল্পী এস এম সুলতান। শিল্পী সুলতানের সঙ্গে খুব ছোটবেলায় একবার দেখা হয়েছিলো ১৯৫৯ সালে, দৌলতপুর কলেজে। তখনও এস এম সুলতান শিল্পী হিসেবে ততটা সুনাম অর্জন করেননি। বড়ই অদ্ভূতভাবে দেখা হয়েছিলো তাঁর সাথে প্রিয়ভাষিণীর। এরপর দীর্ঘদিন আর তাঁর দেখা পাননি প্রিয়ভাষিণী। ১৯৮৫ সালে আবার তাঁর সাথে যোগাযোগ হয়। একদিন সুলতান তাঁর কাজ দেখে মুগ্ধ হয়ে যান। এস এম সুলতানের অনুপ্রেরণা আর উৎসাহে ভাস্কর হিসেবে প্রিয়ভাষিণীর আত্মপ্রকাশ ঘটে সর্বমহলে। প্রিয়ভাষিণীর হাতে সামান্য এক নারকেলের শুষ্ক খোলা অথবা ঝরে পড়া তরুর শাখা এক দৃষ্টিনন্দন পাখির চেহারায় পরিবর্তিত হয়ে যায়। তার সৃষ্টিশীলতায় নিরেট শাখা-শিকড়-পত্রপল্লব থেকে জেগে ওঠে ক্রোধ, ভালোবাসা, ক্ষোভ, ঘৃণা এবং প্রেম,কখনও মাদার তেরেসা, কখনও ছিন্নমূল, কখনওবা একাত্তর। সুলতানের বিশেষ অনুপ্রেরণা ও স্থানীয় সংগঠন চারুপীঠের উদ্যোগে ১৯৯০ সালে যশোর জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয় তাঁর প্রথম প্রদর্শনী। কেবল বাঁশ আর কাঠের বিভিন্ন আসবাবপত্রের প্রদর্শনী ছিলো সেটা। এরপর ১৯৯৪ সালে ঢাকার বেঙ্গল ফাউন্ডেশনে তার দ্বিতীয় প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে এশিয়ান ও দ্বিবার্ষিকসহ অনেকগুলো প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন তিনি। প্রিয়ভাষিণীর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ভাস্কর্য হলো- কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প, শরণার্থী, অস্তগামী জীবন, পোট্রেট অব আব্রাহাম লিংকন, পোট্রে্ইট অফ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মিছিল, ভালোবাসার দিন, নারী নির্যাতন, মুক্তিযুদ্ধের নানা ইতিহাস ইত্যাদি।

ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীই প্রথম নারী যিনি স্বাধীনতা-উত্তরকালে সামাজিক চোখ রাঙানীকে উপেক্ষা করে জনসমক্ষে যুদ্ধকালীন নির্যাতনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। পরবর্তীতে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহ-সভানেত্রী হিসেবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে কাজ করেছেন। ২০০১ সালে জাপানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নেন। ২০০৪ সালে রিডার্স ডাইজেস্ট পত্রিকায় তিনি ‘হিরো অব দি মান্থ’ মনোনীত হয়েছিলেন। এছাড়াও নারী ও মানবাধিকারসহ অন্যান্য বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নানাভাবে তার সংশ্লিষ্টতা ছিলো। শিল্পকলায় অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০১০ সালে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। ২০১৮ সালের ৬ মার্চ ৭১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন দেশবরেণ্য এই ভাস্কর।লেখক: গবেষক ও গণমাধ্যমকর্মী

এ বিভাগের আরো খবর