ফিলিস্তিনের শীর্ষস্থানীয় কবি মুরিদ বারগৌতি আর নেই। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চার বছর আগে তৎকালীন ফিলিস্তিনের রামাল্লার কাছে এক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মুরিদ। জীবনের বেশির ভাগ সময় তিনি কোনো না কোনোভাবে নির্বাসনে কাটিয়েছেন।
আত্মজীবনীমূলক বই আমি রামাল্লাকে দেখেছিতে তিনি সে কথা তুলে ধরেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বইটি পড়েছেন।
ফিলিস্তিনি বুদ্ধিজীবী এডওয়ার্ড সাঈদ ওই স্মৃতিকথাকে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত হওয়া নিয়ে সুন্দরতম বর্ণনা হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন।
১৯৪৪ সালে জন্ম নেয়া মুরিদ মিসরের রাজধানী কায়রোতে অধ্যয়নরত অবস্থায় ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ বাঁধে। পরের ৩০ বছর জন্মভূমিতে আর যাওয়া হয়নি তার।
শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার যে বেদনাভূতি, তা মুরিদ তুলে ধরেছেন হয়েছে আমি রামাল্লাকে দেখেছি বইয়ে। ১২টি সংকলনে প্রকাশ হওয়া তার অনেক কবিতায়ও দেশান্তরি হওয়ার গল্প উঠে এসেছে।
তিনি দীর্ঘ সময় প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তবে বরাবরই রাজনীতির সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছেন।
স্ত্রী রাদওয়া আশুরকে নিয়ে কায়রোতে বসতি গাড়েন মুরিদ। স্বামীর মতো আশুরও ছিলেন লেখক, যিনি মুরিদের অনেক কবিতা ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন।