ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করার বার্তা দিয়ে কলকাতায় শুরু হয়েছে তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব।
শুক্রবার বিকেলে কলকাতার নন্দন প্রেক্ষাগৃহে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মামুদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান, চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষসহ অনেকে।
প্রধান অতিথির ভাষণে হাছান মামুদ ভারতের সঙ্গে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে।
বঙ্গবন্ধুর কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার পরই উভয় দেশের মধ্যে যৌথ চলচ্চিত্র তৈরির কাজ শুরু হয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছেন বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মামুদ। ছবি: নিউজবাংলা
পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী, নাট্য ব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু বলেন, বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ তথা সারা বিশ্বে এক অন্যন্য সম্পদ বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও প্রশংসা করেন।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শ্রিংলা বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার হিসেবেও কাজ করেছেন। তার কথায় উঠে আসে মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক রক্তের অক্ষরে গড়া। এই সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার নয়।
অনুষ্ঠানে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরানও দ্বিপক্ষীয় সুসম্পর্কের কথা বলেন। উৎসবজুডে় শুধুই মৈত্রীর বার্তা ধ্বনিত হয়।
চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম সচিব (প্রেস) ড. মো. মোফাকখারুল ইকবাল।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মামুদ। ছবি: নিউজবাংলা
নন্দনে চলচ্চিত্র উৎসব শুরুর আগে শ্রিংলার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন হাছান মামুদ।
তার আগে একাডেমি অফ ফাইন আর্টসে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশে শিরোনামে ১০০টি চিত্রকর্মের উদ্বোধন করেন তিনি।
শুক্রবার থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। দেখানো হবে ৩২টি বাংলাদেশি সিনেমা। প্রবেশ অবাধ। কলকাতায় সিনেমা অনুরাগীদের কাছে এই উৎসব বিশেষ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দুই বাংলার বেশ কয়েকজন তারকা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন সৃজিত মুখার্জি, অনির্বাচন ভট্টাচার্য, প্রসেনজিত চ্যাটার্জি, জয়া আহসান, মুমতাজ সরকার, রিয়াজ, মিথিলাসহ অনেকে।
শনিবার কলকাতা প্রেসক্লাবে মুক্তিযুদ্ধের সময় নিহত দুই ভারতীয় সাংবাদিক দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুরজিত ঘোষালের স্মৃতিফলক উন্মোচন করবেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
এ ছাড়া কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু ও ইন্দিরা গান্ধীর ঐতিহাসিক জনসভার স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানেও অংশ নেবেন তিনি।