বাংলা একাডেমির একুশের গ্রন্থমেলা এবার ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন শুরু হলো না। তাই দেশের অন্যতম বই বিক্রয় কেন্দ্র ও প্রকাশনা সংস্থা বাতিঘর শুরু করেছে ‘বাতিঘর একুশে বই উৎসব ২০২১’।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবনে অবস্থিত বাতিঘরে যৌথভাবে এই উৎসব উদ্বোধন করেন সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক।
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গান দিয়ে শুরু হয় এই উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে না করে দেরিতে হলেও এবার যে আমরা একুশে বইমেলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এটি আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।’
তিনি বলেন, ‘তাই বলে একুশের বইমেলা বা বই উৎসব যে হচ্ছে না, তা কিন্তু নয়। এই যে বাতিঘর বই উৎসবের আয়োজন করেছে, এটাও দারুণ ব্যাপার।’
আনিসুল হক বলেন, প্রতিবছর ফেব্রুয়ারির এই দিনে এই সময়ে আমরা বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দীতে বইমেলায় থাকি, আড্ডা জমাই। তবে মহামারির কারণে এবার ব্যতিক্রম ঘটছে। ফেব্রুয়ারিতে এবার বই মেলা শুরু করা সম্ভব হয়নি। আমরা যে শেষ খবর জানি, তা হলো আগামী ১৮ মার্চ বইমেলা শুরু হবে।’
তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে বইয়ের উৎসব হবে না, আড্ডা বসবে না এমন তো হতে পারে না। এই সময়ে বাতিঘরের একুশে বই উৎসব একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এই উৎসবের মধ্যে আমরা ফেব্রুয়ারির বইমেলা কিছুটা হলেও উপলব্ধি করতে পারি।’
‘বাতিঘর একুশে বই উৎসব’ একযোগে চট্টগ্রাম ও সিলেটে শাখাতেও শুরু হচ্ছে।
এ উৎসব ছুটির দিনসহ প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে।
উৎসবে বাংলাদেশি প্রকাশনা সংস্থার বই বিক্রি হবে ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ ছাড়ে।
ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড, বিকাশ, নগদ, নেক্সাস ও রকেটের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ ও কুরিয়ারে বই পাঠাবে বাতিঘর। তিন হাজার টাকার বই কিনলে কুরিয়ার চার্জ ফ্রি।