অমর একুশে গ্রন্থমেলা ভার্চুয়াল নয়, আগের মতোই হবে। এ জন্য তিনটি সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে বাংলা একাডেমীতে প্রকাশকসহ বইমেলার আয়োজকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবারের বইমেলা সরাসরি হবে; কোনো ভার্চুয়াল বইমেলা হবে না।’
প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোনো প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তিনটি সম্ভাব্য তারিখসহ একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাব। তারিখ তিনটি হলো ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৭ মার্চ ও ২৭ মার্চ।’
ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা হবে কি না জানতে চাইলে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কঠিন তবে ভ্যাকসিন চলে আসলে সম্ভব।’
তিনি জানান, তাদের প্রস্তাবের সঙ্গে প্রকাশকরা একমত।
বাংলা একাডেমীতে এক মতবিনিময় সভার পর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মার্চে বইমেলা শুরু হলে স্বাধীনতার মাসে কোনো প্রভাব পড়বে না। মুজিববর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সবকিছু মিলেই অনুষ্ঠান হবে।’
করোনাভাইরাস পরিস্থিতে বইমেলায় স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে জানতে চাইলে কে এম খালিদ জানান, বইমেলা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই হবে। স্বাস্থ্যবিধিতে যে নির্দেশ রয়েছে, সবাইকে তা মানতে হবে।
সম্ভাব্য তিনটি তারিখে বইমেলা না হলে কী করা হবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণেই মেলার তারিখ আমরা পিছিয়েছি। মেলার জন্য আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত। মেলা শুরু হলে মাসব্যাপী চলবে। তবে মার্চের ১৭ তারিখে শুরু হলে রোজার আগে শেষ করতে হবে।’
২০ ফেব্রুয়ারি হলে মেলার প্রস্তুতি কতটুকু জানতে চাইলে সভায় উপস্থিত বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, ‘এবারের বইমেলা শুধুমাত্র বাংলা একাডেমি, প্রকাশক সংস্থা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অনুমতিতে নয়; অন্য মন্ত্রণালয়গুলোও বিশেষভাবে যুক্ত। প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিলেই আমরা মেলা শুরু করব।’
সভা শেষে প্রকাশকদের পক্ষ থেকে অন্যপ্রকাশের প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম আজকে তারিখ নির্ধারণ হবে। প্রকাশকদের পক্ষ থেকে আমরা বলেছি, মার্চ মাসের যেকোনো একটি তারিখ নির্ধারণ করতে যাতে এপ্রিলের ১০ তারিখের মধ্যে মেলা শেষ করা যায়।’