বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শেষ হলো নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনী

  •    
  • ১৬ জানুয়ারি, ২০২১ ২২:২৩

এবার এই প্রদর্শনীতে ৩৩৭ জন শিল্পীর ৩৬৮টি শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছিল। এর মধ্য ছিল চিত্রকলা, ছাপচিত্র, ভাস্কর্য, প্রাচ্যকলা, কারুশিল্প, মৃৎশিল্প, গ্রাফিক ডিজাইন, আলোকচিত্র, স্থাপনাশিল্প, পারফরমেন্স আর্ট, নিউ মিডিয়া আর্টসহ বিভিন্ন মাধ্যমের শিল্পকর্ম।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর শুরু হওয়া ২২তম নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনী শেষ হলো শনিবার।

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই প্রদর্শনী শেষ হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে শিল্পকর্ম বিষয়ে পর্যালোচনা করেন শিল্পসমালোচক মোস্তফা জামান। একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন।

নিসার হোসেন বলেন, ‘শিল্পকলা একাডেমির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডের মধ্যে সাধারণত তিনটিকে আমরা চিহ্নিত করি। যেটা শিল্পকলা একাডেমি নিজে আয়োজন করে থাকে। এর মধ্যে এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী, জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী ও নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনী।’

তিনি বলেন, ‘তরুণ শিল্পীরা সারা বছর কী কাজ করল, সেটা দেখার জন্য এই প্রদর্শনী একটা বড় মাধ্যম।’

লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘আমি বলতে পারি বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারের মতো প্রদর্শনীর দর্শক আর কখনও হয়নি এবং ভবিষ্যতে হবে কিনা জানি না। আমি নিজে অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি, এবার নতুন অনেক দর্শক এসেছেন, যারা কখনও শিল্পকলা একাডেমিতে আসেনি। আজকে সমাপনী হলো। এখানে অনেকে থাকতে পারেন, যাদের মনটা একটু খারাপ হয়ে গেল।’

আলোচনা শেষে প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া সব শিল্পীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেয়া হয়। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এতে নৃত্য পরিবেশন করেন একাডেমির এবং স্পন্দনের শিল্পীরা।

এবার এই প্রদর্শনীতে ৩৩৭ জন শিল্পীর ৩৬৮টি শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছিল। এর মধ্য ছিল চিত্রকলা, ছাপচিত্র, ভাস্কর্য, প্রাচ্যকলা, কারুশিল্প, মৃৎশিল্প, গ্রাফিক ডিজাইন, আলোকচিত্র, স্থাপনাশিল্প, পারফরমেন্স আর্ট, নিউ মিডিয়া আর্টসহ বিভিন্ন মাধ্যমের শিল্পকর্ম।

সবগুলো মাধ্যমের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ‘নবীন শিল্পী চারুকলা পুরস্কার ২০২০’ ও ফটোগ্রাফিসহ চারুশিল্পের ১১টি শাখায় এ বছরে প্রত্যেকটিতে একটি করে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দেয়া হয়।

পুরস্কার মনোনয়নের জন্য বিচারক মণ্ডলীর সদস্যরা ছিলেন শিল্পী নাইমা হক, আলোকচিত্রী নাসির আলী মামুন, শিল্পী মো. ইকবাল, মোস্তফা জামান মিঠু, আনিসুজ্জামান ও শেখ সাদী ভূঁইয়া।

এবার নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনীর গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় সংযোজন ছিল বিশেষ কিউরেটেড প্রদর্শনীর আয়োজন।

এবারেই প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বিষয়ভিত্তিক বিশেষ কিউরেটেড প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

এ বিভাগের আরো খবর