জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যা ছয়টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে একাডেমি। আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম।
একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব মো. নওসাদ হোসেন।
পরে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রথমেই একক সংগীত পরিবেশন করেন অনুপমা মুক্তি। একে একে তিনি শোনান ‘বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলায়’, ‘কেউ পারেনি সারা বাংলা এক মিছিলে আনতে’ ও ‘স্বাধীনতা মানে বাঙালির কাছে মুজিবুর রহমান’।
লিয়াকত আলী লাকী কথায় ‘পিতা’ ও হুমায়ুন কবিরের কথায় মঈনুলের সুর ও সংগীতে ‘বঙ্গবন্ধু তুমি আমার সোনার বাংলাদেশ’ দুটি গান করেন এস আই টুটুল।
প্রিয়াংকা বিশ্বাস শোনান ‘টুঙ্গিপাড়ার ছোট্ট খোকা’ ও ‘একজনই শুধু শেখ মজিব, একজনই শেখ হাসিনা’।
কিশোর শোনান ‘হে বন্ধু বঙ্গবন্ধু তোমার কালো ফ্রেমের চশমাটা’ এবং ঝিলিক শোনান ‘ও আমার বাংলা মা তোর’, ‘জন্ম আমার ধন্য হলো’, ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ ও ‘আহা ধন্য আমার জন্মভূমি’।
হৈমন্তী রক্ষিত পরিবেশন করেন ‘বঙ্গবন্ধু তুমি আমাদের জাতির পিতা’ ও ‘এক মহাকাব্যের ছয়টি কবিতা’।
দ্বৈত সংগীতে ঝিলিক ও কিশোর পরিবেশন করেন ‘শোধ করা যাবে সকলের ঋণ, শুধু শোধ করা যাবে না পিতা তোমার রক্তের ঋণ’।
লিয়াকত আলী লাকীর ভাবনা, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সভ্যতার সংকট’ থেকে ‘ওই মহামানব আসে’ শিরোনামে সমবেত নৃত্য এবং নৃত্যালেখ্য ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সংগ্রাম’ পরিবেশন করেন একাডেমির শিল্পীরা।
কবি কামাল চৌধুরীর গ্রন্থনায় লিয়াকত আলী লাকীর পরিকল্পনা, সুর ও সংগীত পরিচালনায় নৃত্যনাট্য ‘যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা’ পরিবেশন করে ধৃতি নর্ত্তনালয়।
সবশেষে কবি কামাল চৌধুরীর ‘১০ জানুয়ারি ১৯৭২’ ও কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার ‘অজেয় জাতির অজেয় পিতা’ কবিতা দুটি আবৃত্তি করেন প্রজ্ঞা লাবণী।