বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিল্পকলায় ‘পূর্ণিমা তিথির সাধুমেলা’

  •    
  • ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০ ২২:৩৩

বাউল শফি মন্ডল, সমির বাউল, শাহিনা খাতুন, আয়নাল বাউল, মিজানুর রহমান ভুট্টো, আকলিমা বাউল, গোলাম মোস্তফা, লতিফ শাহ্, রোকসানা রুপসা, পলাশ শিল, ওমর আলী, দিতি সরকার ও সরদার হীরক রাজা মাতিয়েছেন ‘পূর্ণিমা তিথির সাধুমেলা’।

পৌষের পড়ন্ত বিকেল; চলছে সূর্যের আলো-ছায়ার খেলা। রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে এমন পরিবেশে বুধবার সন্ধ্যার আগে আগে শুরু হয় ‘সাধুমেলা’।

এ সময় ছোট ছোট দলবেঁধে কেউ কেউ একাডেমির মাঠে ঢুকছিলেন; কেউ কেউ ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে তাদের আগেই আসন নিয়ে বসেছিলেন মাঠে। সন্ধ্যা নামতেই মাঠজুড়ে বসে বাউলশিল্পী ও ভক্তদের মেলা।

একাডেমির বাউলকুঞ্জের বটতলায় টাঙানো ছিল লালন সাঁইজির ছবি। সেটি ঘিরে দুই/এক জন বাউল প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সন্ধ্যা প্রদীপ আর ধূপধোঁয়া দেয়ার।

বাউলকুঞ্জ থেকে ভেসে আসছিল একতারা, দোতারার সুর। সেই সঙ্গে সব ঠিকঠাক আছে কিনা তা দেখতে পরীক্ষা চলছিল সাউন্ড সিস্টেমের। এর কিছু সময় পরই শুরু হয় ‘পূর্ণিমা তিথির সাধুমেলা’র পরিবেশনা।

ততক্ষণে মাঠ ভরে যায় বাউলশিল্পী ও ভক্তদের উপস্থিতিতে। অপেক্ষার পালা শেষে শুরু হয় লালনের ‘ভাববাণী’ পরিবেশন।

‘আপন ঘরের খবর নে না।

অনা’সে দেখতে পাবি

কোনখানে সাঁইর বারামখানা।’

‘আমি গুরু কার্য মাথায় রেখে

কী করি আর কোথায় যাই।

রাত পোহালে পাখি বলে

দে রে খাই দে রে খাই।’

বাউলকুঞ্জের বটতলা থেকে এ ধরনের লালনগীতি পরিবেশন করা হচ্ছিল। কখনও একক, কখনও দলীয় পরিবেশনায় মেতেছিলেন বাউলরা; আর তাদের সঙ্গে তাল মেলাচ্ছিলেন সাঁইজি ভক্তরা। সব মিলে অন্যরকম পরিবেশ সৃষ্টি হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মাঠে।

‘পূর্ণিমা তিথির সাধুমেলা’র এই ২১তম আসরের আয়োজকও ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। আয়োজনের ভাবনা ও পরিকল্পনা করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

বাউল শফি মন্ডল, সমির বাউল, শাহিনা খাতুন, আয়নাল বাউল, মিজানুর রহমান ভুট্টো, আকলিমা বাউল, গোলাম মোস্তফা, লতিফ শাহ্, রোকসানা রুপসা, পলাশ শিল, ওমর আলী, দিতি সরকার ও সরদার হীরক রাজা মাতিয়েছেন ‘পূর্ণিমা তিথির সাধুমেলা’।

এ বিভাগের আরো খবর