বাংলাদেশের চারুশিল্প বিকাশের পথিকৃৎ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের জন্মদিনকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর চারুকলায় হয় ‘জয়নুল উৎসব’। তবে করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর সরাসরির পরিবর্তে অনুষ্ঠান হচ্ছে অনলাইনে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন ও চিত্রশিল্পী নিসার হোসেন নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের পাশেই চির ঘুমে শায়িত শিল্পাচার্য। মঙ্গলবার তার ১০৬তম জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন বিভিন্ন অঙ্গনের লোকজন।
সকাল ১০টার দিকে প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে জয়নুলের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এরপর একে একে শ্রদ্ধা জানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, রাজধানীর বিভিন্ন আর্ট গ্যালারি, শিল্পকলা একাডেমি ও চারুকলা অনুষদের সব বিভাগের ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
নিসার হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রতি বছর বড় করে জয়নুল উৎসব পালন করি। কোভিড পরিস্থিতির কারণে এবার সশরীরে তা সম্ভব হলো না।
‘আমরা চারুকলার পক্ষ থেকে ভার্চুয়াল মেলার আয়োজন করেছি। সেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকশিল্পীদের কাজও প্রদর্শনী হচ্ছে। অনলাইন প্রদর্শনী থেকে লোকশিল্পীদের শিল্পকর্ম বিক্রির টাকা তাদের পৌঁছে দেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, জয়নুল উৎসব ঘিরে প্রতি বছর দেশ ও বিদেশের দুই জন শিল্পী-শিক্ষাবিদকে জয়নুল সম্মাননা দেয়া হয়। এবারও দেয়া হচ্ছে সেই পুরস্কার।
‘এবার বাংলাদেশ থেকে এই পুরস্কার পেয়েছেন শিল্পী সৈয়দ আবুল বারক্ আলভী এবং জাপানের চিত্রশিল্পী তোশি ইউকি শিরোকি।’
বাবার জন্মদিনে সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে এসে শিল্পাচার্যের ছোট ছেলে প্রকৌশলী ময়নুল আবেদিন বলেন, ‘বাবার জন্মদিনে প্রতি বছর তো চারুকলায় অনেক বড় করে উৎসব পালন করা হয়। এবার কোভিড পরিস্থিতির কারণে সরাসরি তা হলো না। আশা করছি আগামী বছর সবাই মিলে আবার সরাসরি উদযাপন করব।’