নানা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সাত বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বাংলা একাডেমির সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া তিন জনকে সাহিত্য পুরস্কার ও এক জনকে একাডেমি প্রবর্তিত রবীন্দ্র পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
শনিবার বাংলা একাডেমির সাধারণ পরিষদের ৪৩তম বার্ষিক সভায় গুণীজণ এবং তাদের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার ও ফেলোশিপ তুলে দেয়া হয়।
সম্মানসূচক ফেলোশিপ পেয়েছেন ডা. সারওয়ার আলী (মুক্তিযুদ্ধ), নুরুল ইসলাম নাহিদ (শিক্ষা), নূহ-উল-আলম লেনিন (সমাজদর্শন ও সাহিত্য), অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান (চিকিৎসাসেবা), লিয়াকত আলী লাকী (সংস্কৃতি), জুয়েল আইচ (জাদুশিল্প) ও মনজুরুল আহসান বুলবুল (সাংবাদিকতা)।
সাহিত্যিক মোহম্মদ বরকতুল্লাহ প্রবন্ধ সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন রফিক কায়সার। কবীর চৌধুরী শিশুসাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন শাহরিয়ার কবির। সা’দত আলি আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন জুলফিকার মতিন। এ ছাড়া একাডেমি প্রবর্তিত রবীন্দ্র পুরস্কার পেয়েছেন শিল্পী সাধন ঘোষ।
সাহিত্যিক মোহম্মদ বরকতুল্লাহ প্রবন্ধ সাহিত্য পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ টাকা। কবীর চৌধুরী শিশুসাহিত্য পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ টাকা। সা’দত আলি আখন্দ সাহিত্য পুরস্কারের অর্থমূল্য ৫০ হাজার টাকা। আর রবীন্দ্র পুরস্কারের অর্থমূল্য ৫০ হাজার টাকা।
পুরস্কার ও ফেলোশিপপ্রাপ্ত গুণীজণ এবং তাদের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কারের অর্থমূল্য, সম্মাননাপত্র ও সম্মাননা-স্মারক তুলে দেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান এবং মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।
অনুষ্ঠানে একাডেমির প্রয়াত সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে নিবেদন করা, হাবীবুল্লাহ সিরাজী ও পিয়াস মজিদের সম্পাদনায় ‘বাংলা একাডেমি ও আনিসুজ্জামান’ গ্রন্থ উন্মোচন করা হয়।
সভায় বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করে হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার আগ্রাসনে গোটা বিশ্ব ও বাংলাদেশ যখন বিপর্যস্ত, তখন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে একাডেমি গত প্রায় এক বছর গুরুত্বপূর্ণ নানা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। এ বছরের সাধারণ সভা সীমিত পরিসরের। তবে সবার অংশগ্রহণে তা হয়ে উঠেছে তাৎপর্যপূর্ণ।
জাতীয় অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, ‘বাঙালির প্রাণের প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমিকে ঘিরে বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশার অন্ত নেই। এই প্রত্যাশা অত্যন্ত সঙ্গত। কারণ বাংলা একাডেমি প্রকৃতই বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীক প্রতিষ্ঠান।’
সাধারণ সভার কার্যক্রম সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির পরিচালক ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম ও উপপরিচালক নূরুন্নাহার খানম।