জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীকে স্মরণ করতে প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজন করা হয় ‘সঞ্জীব উৎসব’। তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এ বছর লোকসমাগম নিয়ে আয়োজন হচ্ছে না। এবার সঞ্জীব স্মরণ হবে অনলাইনে।
২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন। এদিন রাত ৮টা থেকে উৎসব দেখা যাবে ‘Sanjeeb Utshob-সঞ্জীব উৎসব’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে।
২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সঞ্জীব উৎসব উদযাপন পর্ষদ’ আয়োজন করছে এ উৎসব।
নবম বারের মতো আয়োজিত এ উৎসবে অংশ নেবেন সঞ্জীব অনুরাগী সংগীতশিল্পী, লেখক ও সাংবাদিকরা।
এবার উৎসবে গান ও স্মৃতিচারণ করবেন বাপ্পা মজুমদার, এলিটা করিম, হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল, আবিদা নাসরিন কলি, শেখ রানা, শুভ, পারভেজ, জয় শাহরিয়ার, সিনা হাসান, সাহস মোস্তাফিজ, লালন মাহমুদ, ফারাবি, সুহৃদ স্বাগত, তুহিন, উদয় ও বাংলা লোকগানের থিয়েট্রিক্যাল ব্যান্ড ‘গানকবি’।
সঞ্জীব উৎসবের আয়োজকদের এক জন সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘করোনা সতর্কতা মাথায় রেখেই এবার অনলাইনে আয়োজন করা হয়েছে। সঞ্জীব উৎসবের মূল উদ্দেশ্য তার গানের দর্শন সবার কাছে পৌঁছে দেয়া।’
অনলাইনে আয়োজিত হলেও রাত সোয়া ৮টায় টিএসসির সঞ্জীব চত্বরে প্রদীপ প্রজ্বালন করা হবে সঞ্জীব উৎসব উদযাপন পর্ষদের পক্ষ থেকে।
‘আমি তোমাকেই বলে দেবো’, ‘রঙ্গিলা, ‘সমুদ্র সন্তান’, ‘জোছনা বিহার’, ‘তোমার ভাঁজ খোলো’, ‘চাঁদের জন্য গান’, ‘স্বপ্নবাজি’র মতো জনপ্রিয় গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সঞ্জীব চৌধুরীর নাম।
‘গাড়ি চলে না’, ‘বায়োস্কোপ’, ‘কোন মিস্তরি নাও বানাইছে’ গানগুলো গেয়ে বাংলা লোকগানকে তিনি নাগরিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত করেছেন।
জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘দলছুট’-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সঞ্জীব চৌধুরী। ব্যান্ডটির চারটি অ্যালবামে কাজ করার পাশাপাশি অনেক গান রচনা ও সেগুলোতে সুর দিয়েছেন তিনি।
১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মাকাল কান্দি গ্রামে জন্ম এই শিল্পীর। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর বাই লেটারেল সেরিব্রাল স্কিমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।