মিসরের সবচেয়ে প্রাচীন ও বড় পিরামিডের হারিয়ে যাওয়া নিদর্শন পাওয়া গেছে সিগারের একটি বাক্সে।
স্কটল্যান্ডের অ্যাবারডিন ইউনিভার্সিটির এক কর্মকর্তা ওই নিদর্শনের খোঁজ পান বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
পাঁচ হাজার বছরের পুরনো এ নিদর্শনকে ‘অনেক গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
১৮৭২ সালে গ্রেট পিরামিডের রানীর কক্ষে তিনটি বস্তুর খোঁজ প্রথম পান প্রকৌশলী ওয়েনম্যান ডিক্সন। এগুলো হলো বল, হুক ও কাঠের টুকরো।
বল ও হুক ব্রিটিশ মিউজিয়ামে আছে। ১৯৪৬ সালে কাঠের খণ্ডটি অ্যাবারডিন ইউনিভার্সিটিকে দান করা হয়। পরে সেখানে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি খণ্ডগুলো।
পিরামিড নির্মাণের কাজে সিডার গাছের কাঠ ব্যবহার করা হতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
বিশ্ববিদ্যালয়টির এশিয়া সংগ্রহশালায় রাখা জিনিসপত্রের সমীক্ষা চালানোর সময় হারানো নিদর্শনের সন্ধান পান কিউরেটরিয়াল সহকারী আবির এলাডেনি।
মিসরের রাজধানী কায়রোর ইজিপ্সিয়ান মিউজিয়ামে ১০ বছর কর্মরত ছিলেন মিসরীয় বংশোদ্ভূত আবির।
আবির বলেন, ‘কাঠের খণ্ডগুলো দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম এগুলোই সেই হারিয়ে যাওয়া খণ্ড। ভুল জায়গায় এতদিন সেগুলো রাখা ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমি একজন প্রত্নতাত্ত্বিক। এ নিয়ে মিসরে কাজ করেছি। আমার দেশের ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন সুদূর স্কটল্যান্ডের উত্তর-পূর্বে খুঁজে পাব, তা কখনো ভাবিনি।
‘এটি কাঠের ছোট একটি টুকরো হতে পারে, যা কয়েকটি খণ্ডে এখন ভেঙে গেছে। কিন্তু গ্রেট পিরামিডের ভেতর থেকে উদ্ধার হওয়া মাত্র তিনটি বস্তুর মধ্যে এই টুকরো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
আবির বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সংরক্ষণাগার বিশাল। হাজার হাজার জিনিস সেখানে। খড়ের গাদার মধ্য থেকে একটি সুই খোঁজার মতো বিষয় ছিল এটি। সাদাসিধে একটি সিগারের বাক্সে কাঠের খণ্ডগুলো থাকবে, তা কল্পনাই করিনি।’