বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে নাচ, গানসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপন হলো ‘নবান্ন উৎসব ১৪২৭’।
রোববার বিকাল ৫ টায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
একাডেমির সংগীত ও নৃত্যশিল্পী এবং গম্ভীরা দলের শিল্পীরা জাতীয় নাট্যশালার লবিতে সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
শিল্পী মামুন জাহিদ খানের গাওয়া দেশাত্ববোধক গান ‘ও আমার দেশের মাটি’ পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় নবান্ন উৎসবের।
সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয় আলোচনার অনুষ্ঠান। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন।
আলোচনা শেষে ফারহানা চৌধুরী বেবীর পরিচালনায় ‘এই নবান্নে এই হেমন্তে কাটা হবে ধান’ গানের কথায় সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস।
এরপর ‘সবাই মিলে কাটবো ধান, গাইবোরে নবান্নের গান’ একক সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী চন্দনা মজুমদার।
‘কয় সের আলো চাল পাড়িয়া সোনা বানিয়া আরো আটা, কাল বিয়্যানে বানেয়া দেন মোক গামলা কয়েক পিঠা’ এবং ‘ও কি হায়রে হায় মোনটায় মোর পিঠা খাবার চায়’ সমবেত ভাওয়াইয়া সংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ভাওয়াইয়া শিল্পীরা।
এরপর নবান্নের পুঁথি পাঠ করেন আব্দুল আজিজ।
স্নাতা শাহরিনের পরিচালনায় সমবেত কত্থক নৃত্য, ওয়ার্দা রিহাবেরে পরিচালনায় ‘পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে’ গানের কথায় সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে ধৃতি নর্ত্তনালয়।
‘নতুন ফসল আইলোরে এই বাংলার ঘরে ঘরে’- সমবেত সংগীত পরিবেশন করে সরকারি সংগীত মহাবিদ্যালয়।
অন্তর দেওয়ানের পরিচালনায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন চাকমা, ত্রিপুরা ও তঞ্চঙ্গা শিল্পীরা। লোকজ একক সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী শফি মন্ডল।
ফাইজুর রহমান মানিকের পরিচালনায় নবান্ন বিষয়ক গম্ভীরা পরিবেশন করেন ‘চাঁপাই গম্ভীরা দল’।
উৎসবের শেষ পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসেন একাডেমির সংগীত ও নৃত্যশিল্পীরা। নবান্নের গানে সমবেত সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন তারা। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আবৃত্তি শিল্পী নায়লা তারান্নুম কাকলী।