কূটনীতিকরা যার কাছে সহজেই যেতে পারেন তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু কন্যা এক জন অসাধারণ নেতা বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন।
রাষ্ট্রপ্রধান শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আকুল হয়ে থাকার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর মালিবাগের কসমস সেন্টারে দুই মাসব্যাপী ‘শেখ হাসিনা: অন দ্য রাইট সাইড অব হিস্ট্রি’ শীর্ষক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী যৌথভাবে উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন তারা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ‘গ্যালারি কসমস’ সম্প্রতি ‘কসমস আতেলিয়ার৭১’ এর সঙ্গে যৌথভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করে।
কসমস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় সেই আর্টক্যাম্পে দেশের শীর্ষস্থানীয় ও প্রতিশ্রুতিশীল ২১ জন চিত্রশিল্পী অংশ নিয়েছিলেন।
তারা হলেন-অলকেশ ঘোষ, আহমেদ শামসুদ্দোহা, শেখ আফজাল, নাসির আলী মামুন, বিশ্বজিৎ গোস্বামী, রত্নেশ্বর শুত্রধর, রাসেল কান্তি, মনজুর রশিদ, সৌরভ চৌধুরী, মানিক বনিক, জয়ন্ত সরকার, আজমল হোসেন, ফিদা হোসেন, অমিত নন্দী, দিদারুল লিমন, তামান্না আফরোজ, ফাহিম চৌধুরী, মিসকাতুল আবির, প্রসূন হালদার, হাসুরা আক্তার রুমকি ও সুরভী শ্রুতি।
আর্টক্যাম্পে আঁকা সেই শিল্পকর্মগুলো নিয়েই প্রদর্শনীটি শুরু হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, ‘কূটনীতিকরা যার কাছে সহজেই যেতে পারেন তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি এক জন অসাধারণ নেতা এবং প্রদর্শনীটিতে তার আবেগ ও সংকল্পের অসাধারণ বিষয়গুলো জায়গা পেয়েছে।’
বাংলাদেশের আধুনিক ইতিহাসকে সুন্দরভাবে চিত্রায়নের জন্য শিল্পীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এই ছবিগুলো তার (শেখ হাসিনা) জীবনের বিভিন্ন স্তর এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ ফুটিয়ে তুলেছে।’
শিল্পকর্মগুলোর প্রশংসা করে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, ‘সবগুলো শিল্পকর্ম দেখে আমি মুগ্ধ।’
তিনি বলেন, শিল্পকর্মগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার জীবনের বিভিন্ন মুহূর্তকে তুলে আনা হয়েছে।
কসমস ফাউন্ডেশনকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন ও অর্জন নিয়ে এমন একটি আয়োজন করায় ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এখনও তার (শেখ হাসিনা) সঙ্গে সাক্ষাৎ করিনি। যখন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করব তখন অবশ্যই এই প্রশংসনীয় উদ্যোগের কথা বলবো।’
কসমস গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ জামিল খান বলেন, সকলেই একমত হবেন যে, এখানকার প্রতিটি শিল্পকর্ম নিজস্ব ভঙ্গিতে অনন্য এবং আকর্ষণীয়।
তিনি বলেন, শিল্প প্রতিদিনকার বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য নাও হতে পারে, তবে সমাজ ও সংস্কৃতির টিকে থাকার জন্য দীর্ঘমেয়াদে এটি অপরিহার্য।
তিনি সকল শিল্পীদের ধন্যবাদ জানান যারা অনুষ্ঠানটি সফল করতে অবদান রেখেছেন এবং কঠোর পরিশ্রম করেছেন।
২০২১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কসমস সেন্টারে এ প্রদর্শনী চলবে। শুক্রবার বাদে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সবার জন্য গ্যালারি খোলা থাকবে।
মাস্ক পরে ও যথাযথ দূরত্ব বজায় রেখে একই সময়ে একসঙ্গে ২০ জন দর্শনার্থী এই প্রদর্শনী ঘুরে দেখতে পারবেন।