বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আরও উন্মুক্ত খুলির টাওয়ার

  •    
  • ১২ ডিসেম্বর, ২০২০ ১০:০৮

অ্যাজটেকদের রাজধানী তেনোচতিতলানে হুইজিলোপোচতলির চ্যাপেলে রাখা এই খুলির স্তম্ভ ‘হিউয়ি জোমপ্যান্তলি’ নামে পরিচিত ছিল।

মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটির প্রাণকেন্দ্রে মাটি খুঁড়ে অ্যাজটেক সভ্যতার খুলির টাওয়ারের আরও কিছু অংশ পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।

মেক্সিকোর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যানথ্রোপলজি অ্যান্ড হিস্ট্রি (আইএনএএইচ) জানিয়েছে, এবার টাওয়ারের ১১৯টি খুলি পাওয়া গেছে।

২০১৫ সালে মেক্সিকো সিটির একটি ভবন পুনর্নির্মাণের সময় খুলির টাওয়ারের সন্ধান মেলে।

ধারণা করা হয়, অ্যাজটেকদের সূর্য, যুদ্ধ ও নরবলির দেবতার মন্দিরের অংশ খুলির টাওয়ারটি।

অ্যাজটেকদের রাজধানী তেনোচতিতলানে হুইজিলোপোচতলির চ্যাপেলে রাখা এই খুলির স্তম্ভ ‘হিউয়ি জোমপ্যান্তলি’ নামে পরিচিত ছিল।

অ্যাজটেকরা নাওয়াটেলভাষী, যারা ১৪ থেকে ১৬ শতক পর্যন্ত মেক্সিকোর কেন্দ্রীয় অঞ্চল শাসন করেছে। ১৫২১ সালে স্প্যানিশ হারনান করতেস অ্যাজটেক সাম্রাজ্যের পতন ঘটান। তবে হিউয়ি জোমপ্যান্তলি স্পানিশ যোদ্ধাদের মধ্যে ভীতি তৈরি করেছিল।

সিলিন্ডারের মতো দেখতে এই স্তম্ভটি আছে তেনোচতিতলানের অন্যতম প্রধান মন্দির টেমপ্লো মেয়রের ওপর তৈরি বিশাল মেট্রোপলিটন ক্যাথেড্রালের কাছে।

প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, ১৪৮৬ থেকে ১৫০২ সালের মধ্যে তিনটি পর্যায়ে এটি নির্মাণ করা হয়েছে।

মেক্সিকোর সংস্কৃতিমন্ত্রী আলেজান্দ্রা ফ্রস্তো বিবিসিকে বলেন, ‘টেমপ্লো মেয়র আমাদের বিস্মিত করেই যাচ্ছে। নিঃসন্দেহে সাম্প্রতিক বছরে প্রত্নতাত্ত্বিকদের অন্যতম বিস্ময়কর আবিষ্কার হিউয়ি জোমপ্যান্তলি।’

প্রত্নতাত্ত্বিকরা আশা করেছিলেন, এখানে তরুণ যোদ্ধাদের খুলি পাবেন। কিন্তু তারা নারী ও শিশুদের খুলির অংশও পেয়েছেন। এর ফলে অ্যাজটেক সাম্রাজ্যে নরবলি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

প্রত্নতাত্ত্বিক রওল বারেরা বলেন, ‘আমরা অবশ্য বলতে পারি যে, এদের মধ্যে কত জন যোদ্ধা ছিল। হয়তো কাউকে কাউকে নরবলি উৎসবের জন্য বন্দি করা হয়েছিল।’

এ বিভাগের আরো খবর