বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় সপ্তাহব্যাপী ভরত নাট্যশাস্ত্রের অভিনয় কর্মশালা শেষ হয়েছে আজ বুধবার।
ভরত নাট্যশাস্ত্রের ব্যাপক চর্চার দিক উন্মোচনের কথা বিবেচনা করে এই কর্মশালা শুরু হয়েছিল গত ২৬ নভেম্বর।
একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হল এবং ৩ নম্বর মহড়াকক্ষে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের বিভিন্ন নাট্য সংগঠনের ৩২জন নাট্যকর্মী এই কর্মশালায় অংশ নেন। প্রধান প্রশিক্ষক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওয়াহিদা মল্লিক জলি।
সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ত্রিশ বছর যাবৎ এই বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান করছি। কিন্তু কখনও এ ধরনের কর্মশালা আয়োজন করতে দেখিনি। এই প্রথমবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ভরত নাট্যশাস্ত্রের এই কর্মশালা আয়োজন করেছে। এজন্য একাডেমির মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানাই।’
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে রুহি আফসানা দিপ্তী অনুভুতি প্রকাশ করে বলেন, ‘শিল্প নির্মাণ কাজে কীভাবে ভরত নাট্যশাস্ত্রকে কাজে লাগাতে পারব তা নিয়েই বিশদ আলোচনা হয়েছে।‘
তিনি বলেন, ‘আঙ্গিক, বাচিক, সাত্ত্বিক ও আহার্য অভিনয় নিয়ে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছি। রস ভাব নিয়েও আলোচনা হয়েছে। শিল্পী হিসেবে অনেক বেশি সমৃদ্ধ হয়েছি।’
বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে কর্মশালার সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনলাইনে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন একাডেমির সচিব মো. নওসাদ হোসেন, নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক আফসানা করিম এবং কর্মশালার প্রধান প্রশিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওয়াহিদা মল্লিক জলি।