বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মনে হচ্ছে, বাবাই চলে গেছেন: খিলখিল কাজী

  •    
  • ১৫ নভেম্বর, ২০২০ ২০:৩৫

আবৃত্তিকার কাজী সব্যসাচী ও তার পরিবারের সঙ্গে সৌমিত্রের ঘনিষ্ঠতার গল্প নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন সেই পরিবারের মেয়ে কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি খিলখিল কাজী।

বাংলদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ছেলে কাজী সব্যসাচীর বন্ধু ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। কলকাতার আকাশবাণীতে কাজ করার সুবাদে এ দুই কবি ও আবৃত্তিকারের বন্ধুত্ব হয়।

আবৃত্তিকার কাজী সব্যসাচী ও তার পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার গল্প নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন সেই পরিবারের মেয়ে কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি খিলখিল কাজী।

রোববার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর কথা হয় তার সঙ্গে।

নিউজবাংলাকে খিলখিল কাজী বলেন, ‘আমরা কলকাতা থেকে ঢাকা চলে আসার পরও তিনি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। আমার বাবা যখন মারা যান, আমার ইচ্ছা ছিল তার স্মরণে একটা পুরস্কার আয়োজন করার। প্রথম পুরস্কারটা আমি ওনাকে দিতে চেয়েছিলাম।

‘যখন তাকে আমাদের এসব চাওয়া জানালাম, তখন খুব খুশি হয়েছিলেন তিনি।’

১৯৭৯ সালের ২ মার্চ মৃত্যু হয় কাজী সব্যসাচীর। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে কাজী সব্যসাচী মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয় ২০১৬ সালে ঢাকায়।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে সামনাসামনি দেখার, তার সঙ্গে কথা হওয়ার স্মৃতি তার প্রয়াণের পর বার বার নাড়া দিচ্ছে কাজী নজরুল ইসলামের নাতনির মনে।

খিলখিল কাজী বলেন, ‘একজন ভক্ত হিসেবে তাকে সামনাসামনি দেখে আমি ভীষণ অভিভূত হই। তিনি তখন আমাকে একটা চিরকুট লিখে দেন। বলেন, বাবাকে নিয়ে এমন উদ্যোগে তিনি খুব খুশি।

‘বাবাকে নিয়ে তিনি বলেছিলেন, তার আবৃত্তি ও কণ্ঠ শোনার জন্য আকাশবাণীতে সবাই অপেক্ষা করত। বাবাও বলত, তার বন্ধুর দারুণ অভিনয়ের কথা, তার কবিতার প্রতি ভালোবাসার কথা।’

‘ওনার শূন্যস্থান পূরণ হওয়ার নয়। উনি চলে গেছেন। মনে হচ্ছে, আমার একজন বাবাই চলে গেছেন। আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করি’, একথা বলতে বলতেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে ফোন রেখে দেন খিলখিল কাজী।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সেই চিরকুটটি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন খিলখিল কাজী।

এ বিভাগের আরো খবর