প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক আবু ইসহাকের জন্মদিন আজ রোববার।
বাংলা সাহিত্যের সাড়া জাগানো উপন্যাস ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’র রচয়িতা এ লেখকের জন্ম ১৯২৬ সালের ১ নভেম্বর শরীয়তপুরের শিরঙ্গল গ্রামে।
১৯৪৯ সালে পুলিশের সহকারী পরিদর্শক হিসেবে যোগ দেন আবু ইসহাক। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে ঢাকায় এসে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার উপপরিচালক হন তিনি।
সংস্থাটির খুলনা বিভাগের প্রধান হিসেবে ১৯৮৪ সালে অবসরে যান তিনি।
কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত নবযুগ পত্রিকায় ‘অভিশাপ’ নামে তার একটি গল্প প্রকাশিত হয়। এরপর কোলকাতার ‘সওগাত’, ‘আজাদ’-এর মতো পত্রিকায় প্রকাশিত হয় তার নানা রচনা।
বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, দেশবিভাগের মতো ঐতিহাসিক ঘটনার পটভূমিতে ১৯৫৫ সালে রচনা করেন ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ উপন্যাসটি।
১৯৭৯ সালে ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ উপন্যাসের চলচ্চিত্রায়ন হয়। এ ছাড়া একাধিক ভাষায় উপন্যাসটি অনূদিত হয়।
পদ্মার বুকে জেগে ওঠা চরের শ্রমজীবী মানুষের জীবন-সংগ্রামের কথা নিয়ে দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে ১৯৮৬ প্রকাশ করেন দ্বিতীয় উপন্যাস ‘পদ্মার পলিদ্বীপ’।
আবু ইসহাকের উপন্যাসের মূল উপজীব্য অস্তিত্বের সংগ্রাম। এ কারণে তার উপন্যাসে এক ধরনের ব্যর্থ দ্রোহ-চেতনাও সক্রিয় হতে দেখা যায়।
১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয় আবু ইসহাকের তৃতীয় উপন্যাস ‘জাল’। তার রচিত একমাত্র নাটক জয়ধ্বনি। ‘হারেম’ ও ‘মহাপতঙ্গ’ নামে তার দুটি গল্পগ্রন্থও রয়েছে।
সাহিত্যে অবদানের জন্য আবু ইসহাককে ১৯৯৭ সালে একুশে পদক ও ২০০৪ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়।
২০০৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় মৃত্যু হয় বাংলা সাহিত্যের এই উজ্জ্বল নক্ষত্রের।