বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টোকন ঠাকুরের আত্মসমর্পণ

  • হীরক পাশা, ঢাকা   
  • ২৭ অক্টোবর, ২০২০ ১২:৫৫

টোকন ঠাকুর সরকারের কাছে অনুদানের শেষ দুই কিস্তির টাকা পাওনা আছে বলে দাবি করলেও তিনি স্বীকার করছেন, তার চলচ্চিত্রের ডাবিং এখনো শেষ হয়নি। 

কবি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা টোকন ঠাকুর মঙ্গলবার সকালে নির্বাহী হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। এ সময় তিনি জামিনের আবেদন জমা দেন।

সরকারি অনুদানের টাকা তছরূপের অভিযোগে করা মামলায় সোমবার বিকেলে জামিনে মুক্ত হন তিনি।

এর আগে রোববার সন্ধ্যার পর রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোডের নিজ বাসা থেকে ওই মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাকে।

টোকন ঠাকুর ‘কাঁটা’ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সরকারি অনুদান পেয়েছিলেন ২০১৩-১৪ অর্থবছরে। নিউজবাংলা ২০১২ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্রে অর্থ বরাদ্দের নীতিমালা বিশ্লেষণ করে দেখেছে। এই সময়ের মধ্যে নিয়মে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।

অনুদানের অর্থ চলচ্চিত্রকার পেয়ে থাকেন তিনটি ধাপে। এর মধ্যে চলচ্চিত্র নির্মাণের নির্ধারিত সময় যেমন বেঁধে দেয়া আছে, তেমনটি কোন পর্যায়ে কত ভাগ অর্থ দেয়া হবে তাও নির্ধারণ করা হয়েছে।

২০১২ সালের নীতিমালার ১৪ ও ১৫ নম্বর ধারায় অর্থ দেয়ার পদ্ধতি উল্লেখ করা হয়েছে।

১৪ নম্বর ধারায় বলায় হয়, অনুদানের জন্য নির্বাচিত চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করার জন্য অনুদানের শতকরা ৩০ ভাগ অর্থ (১ম কিস্তি) দেয়া হবে। অনধিক তিন মাসের মধ্যে চলচ্চিত্রের কমপক্ষে শতকরা ৩০ ভাগ চিত্রায়নের পর অনুদানে চিত্রায়িত অংশ সন্তোষজনক বিবেচিত হলে ৩৫ মি. মি. ফরম্যাটে নির্মিত চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে অনুদানের দ্বিতীয় কিস্তিতে আরও অনূর্ধ্ব শতকরা ৫০ ভাগ অর্থ দেয়া হবে। ডিজিটাল ফরম্যাটে নির্মিত চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে অনুদানের দ্বিতীয় কিস্তিতে আরও অনূর্ধ্ব শতকরা ৩০ ভাগ অর্থ প্রদান করা হবে। তবে স্ক্রিপ্টের প্রয়োজনে বিশেষ বিবেচনায় এ সময় বাড়ানো যাবে। 

১৫ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ৩৫ মি. মি. ফরম্যাটে নির্মিত চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ চলচ্চিত্রের সম্পাদিত রাশ ও ডাবিং করা সংলাপ অনুদান কমিটির মাধ্যমে পরীক্ষার পর কমিটির সুপারিশ সাপেক্ষে অবশিষ্ট শতকরা ২০ ভাগ অর্থ প্রদান করা হবে। ডিজিটাল ফরম্যাটে নির্মিত চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে রাশ ও ডাবিং করা সংলাপ অনুদান কমিটির পরীক্ষাপূর্বক অবশিষ্ট শতকরা ৪০ ভাগ অর্থ দেয়া হবে। তবে সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্র সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে হার্ড ডিস্ক/ডিভিডি ফরম্যাটে একটি কপি অবশ্যই জমা দিতে হবে। 

টোকন ঠাকুর সরকারের কাছে অনুদানের শেষ দুই কিস্তির টাকা পাওনা আছে বলে দাবি করলেও তিনি স্বীকার করছেন, তার চলচ্চিত্রের ডাবিং এখনো শেষ হয়নি। 

২০১৩ সালে ‘কাঁটা’র জন্য অনুদান পাওয়ার পরও কাজ শেষ করতে এত সময় লাগার কারণ জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমার সিনেমাটি পিউরিটিক্যাল সিনেমা। সিক্সটিজের সিনেমা ওইটা পুরান ঢাকাতে শুট করতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর