দ্রোহ ও ভালবাসার কবি হেলাল হাফিজ। বুধবার তার ৭৩তম জন্মদিন। মনে-প্রাণে এখনো চির তরুণ এই কবির শরীরটা এখন খুব একটা ভালো নেই বলে জানালেন কবি নিজেই।
জীবনের ৭২টি বসন্ত পেরোনোর অনুভূতি জানতে চাইলে এক গাল হেসে নিউজবাংলাকে কবি বলেন, ‘দোয়া রেখো, শরীরটা তেমন ভালো নেই।’
১৯৪৮ সালের এই দিনে নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার বড়তলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হেলাল হাফিজ। শৈশব, কৈশোর ও যৌবন কেটেছে নিজ শহর নেত্রকোণাতেই।
হেলাল হাফিজ ১৯৬৫ সালে নেত্রকোণা দত্ত হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ১৯৬৭ সালে নেত্রকোণা সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন।
কবি হেলাল হাফিজের লেখালেখির শুরুটা ষাটের দশকে। ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানের সময় রচিত ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’ কবিতাটি তাকে খ্যাতি এনে দেয় ।
১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’। এর ২৬ বছর পর ২০১২ সালে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতা একাত্তর’।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ৩৪টি কবিতা নিয়ে ঢাকা ও কলকাতা থেকে প্রকাশ হয় তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’।
জন্মদিনে ভক্ত-পাঠক-শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশ্যে কিছু বলার আছে কি না জানতে চাইলে বলেন ‘ভালোবাসাই ভরসা, সবাইকে ভালোবাসা জানাই।’
২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান কবি হেলাল হাফিজ।