বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিআরবি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি চান চট্টগ্রামবাসী

  •    
  • ৮ আগস্ট, ২০২১ ১৯:৪৮

বৃহদাকার প্রকল্প নির্মাণের মাধ্যমে বাণিজ্যিক আগ্রাসনের হাত থেকে ঐতিহাসিক সিআরবিকে রক্ষা করতে চট্টগ্রামবাসী প্রধানমন্ত্রীর শরণাপন্ন হয়েছেন বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।

চট্টগ্রামের 'ফুসফুস' খ্যাত সিআরবি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি চেয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে সিআরবি রক্ষা আন্দোলন।

রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোমিনুর রহমানের মাধ্যমে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট পাঁচ নাগরিকের সই করা স্মারকলিপিটি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

বৃহদাকার প্রকল্প নির্মাণের মাধ্যমে বাণিজ্যিক আগ্রাসনের হাত থেকে ঐতিহাসিক সিআরবিকে রক্ষা করতে চট্টগ্রামবাসী প্রধানমন্ত্রীর শরণাপন্ন হয়েছেন বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।

পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি হলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও কবি আবুল মোমেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, কবি ও নাট্যব্যক্তিত্ব শিশির দত্ত, নাট্যব্যক্তিত্ব আহমেদ ইকবাল হায়দার ও স্থপতি জেরিনা হোসেন।

জেলা প্রশাসকের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফর আহমেদ, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন আজাদ, ডা. মনজুরুল করিম বিপ্লব, ব্যবসায়ী খোকন বড়ুয়া ও অ্যাডভোকেট সুমন চক্রবর্তী।

সিআরবিকে চট্টগ্রাম নগরীর ঐতিহ্যগত, ভূ-পরিবেশ ও প্রতিবেশগত অহংকারের জায়গা উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২১০ একর এলাকাটিতে ছোট-বড় পাহাড়-টিলা, উন্মুক্ত স্থান ছাড়াও রয়েছে ১৯৭ প্রজাতির উদ্ভিদ।

সিআরবিতে আরও রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আব্দুর রবসহ সাত বীর সেনানীর সমাধি।

সিআরবির শিরীষতলা চট্টগ্রাম নগরবাসীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের একমাত্র স্থান, যেখানে প্রতিবছর আয়োজন হয় পহেলা বৈশাখ, পহেলা ফাল্গুন, রবীন্দ্রজয়ন্তীর মূল অনুষ্ঠান।

১৯৬১ সালের মহাপরিকল্পনা ও ১৯৯৫ সালের নগর পরিকল্পনায় সিআরবি ভবনকে ঐতিহাসিক ভবন হিসেবে সংরক্ষণ এবং সিআরবি ও বাটালী হিল এলাকাকে উন্মুক্ত পরিসর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

২০০৮ সালের ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যানে সিআরবিকে সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘এখানে হাসপাতাল নির্মাণ হলে এলাকাটির সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক আবেদনই শুধু ধ্বংস হবে না, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতিসৌধকেও কলঙ্কিত ও গুরুত্বহীন করবে, যা গ্রহণযোগ্য নয়।’

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, চট্টগ্রামবাসী মেডিক্যাল স্থাপনার বিরুদ্ধে নয়, তবে তা সিআরবির বিনিময়ে নয়।'

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রামবাসীর আবেদনে সাড়া না দিয়ে মেডিক্যাল স্থাপনা নির্মাণে সিআরবি এলাকায় বেশ কয়েকটি গভীর নলকূপ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়ায় নাগরিকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

এ বিভাগের আরো খবর