বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৫০ বছর পর জোয়ার বৈরাগীতে

  •    
  • ৩ আগস্ট, ২০২১ ১৩:৪৬

স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় থানাপাড়া এলাকায় খালের ওপর দিয়ে একটি রাস্তা তৈরি করায় মধুমতী নদীর সঙ্গে সংযোগ বন্ধ হয়ে যায় খালটির। এরপর থেকে খালে আর জোয়ারের পানি প্রবেশ করেনি।

দীর্ঘ ৫০ বছর পর জোয়ারের পানির স্রোত বইছে গোপালগঞ্জ জেলা শহরে প্রবহমান বৈরাগীর খালে। একসময় এই খাল স্থানীয় মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হলেও অযত্ন, অবহেলায় ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়। এ ছাড়া প্রশাসনের নজরদারির অভাবে অবৈধ দখলের কারণে খালটি সরু হয়ে যায়।

স্থানীয়দের দীর্ঘ বছরের দাবি পূরণে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে ১ আগস্ট বৈরাগীর খালটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এর আগে রাস্তা কেটে তৈরি করা হয় ব্রিজ, উচ্ছেদ করা হয় অবৈধ স্থাপনাও। পুনর্খনন করে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে বৈরাগীর খাল। জোয়ারের পানির স্রোত বইছে। তা দেখে খুশি খালপাড়ের মানুষ।

বর্তমান চিত্র দেখে বোঝার উপায় নেই যে, ছয় মাস আগে পর্যন্ত বৈরাগীর খালটি দুর্গন্ধ ও ময়লার ভাগাড় ছিল।

স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় থানাপাড়া এলাকায় খালের ওপর দিয়ে একটি রাস্তা তৈরি করায় মধুমতী নদীর সঙ্গে সংযোগ বন্ধ হয়ে যায় খালটির। এরপর থেকে খালে আর জোয়ারের পানি প্রবেশ করেনি।

তাছাড়া প্রশাসনের নজরদারির অভাবে অবৈধভাবে দখল হতে থাকে খালের পাড়। শহরের বিভিন্ন স্থানের ময়লা আবর্জনা ফেলতে থাকায় দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ ছিল খালপাড়ের মানুষের জীবন। তাই স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে খালটির সংস্কার চাইছিলেন।

জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ইলিয়াস হক বলেন, ‘এই খালটিকে ঘিরে শহরের মানুষের দীর্ঘদিনের আশার প্রতিফলন হলো। ৫০ বছর আগে খালটি সচল ছিল। প্রায় দুই দশক ধরে এই খালটি ময়লা আর্বজনার স্তূপে পরিণত হয়। শহরের সমস্ত ময়লা পানি এই খালে এসে পড়ে দুর্গন্ধ ছড়াত। এত বছর পরে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ায় খালটি প্রাণ ফিরে পেয়েছে।’

দীর্ঘ বছর পর উন্মুক্ত হওয়া এই খালটি যেন পুনরায় অবৈধ দখলদারদের দৌরাত্ম্যের শিকার না হয় সেদিকে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুর রহমান বলেন, ‘পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘের খালটি সংস্কার করা হয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই কাজে সহযোগিতা করেছেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা ও পৌরসভার মেয়র। ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করলে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।’

জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা জানান, ‘দুর্গন্ধে বৈরাগীর খালের পাশ দিয়ে যাতায়াত করা খুব কষ্টকর ছিল। জনগণের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে খালটি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কারের পর খালে নতুন পানি ডুকেছে। সকাল-বিকেল জোয়ার-ভাটার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে দুর্গন্ধ দূর হয়েছে। এ ছাড়া খালটি পুনরায় দখল করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর