মানুষের অবাধ বিচরণ বন্ধ করে দেশের ফুসফুস খ্যাত সুন্দরবনকে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের নিরাপদ আবাসস্থল করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। মানুষের জন্য বন ও বাঘের কোনো ক্ষতি হতে দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
‘বাঘ বাঁচায় সুন্দরবন, সুন্দরবন বাঁচায় লক্ষ জীবন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক বাঘ দিবসে আয়োজিত বন অধিদপ্তরের ওয়েবিনারে যোগ দিয়ে উপমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনের রক্ষক বাঘ সংরক্ষণে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। সুন্দরবনে বাঘের বসবাস উপযোগী নিরাপদ আবাসস্থল নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে সুন্দরবনে বিভিন্ন উদ্দেশে মানুষের প্রবেশ বন্ধ করতে হবে।’
করোনাকালে সুন্দরবনে মানুষের উপদ্রব কম হওয়ায় বাঘের সংখ্যা বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষের জন্য বিশ্ব ঐতিহ্যের সুন্দরবন এবং জাতীয় পশু বাঘের কোনো ধরনের ক্ষতি হতে দেয়া হবে না।’
বাঘ সংরক্ষণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েও কথা বলেন উপমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণে রক্ষিত এলাকার পরিমাণ আরও বাড়ানও হবে। বাঘ শিকার প্রতিরোধে সুন্দরবনের মধ্যে জিপিএসের সাহায্যে স্মার্ট পেট্রোলিং পরিচালনা করা হচ্ছে।’
বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় সুন্দরবনে বন বিভাগ ড্রোন ব্যবহার করছে জানিয়ে উপমন্ত্রী বলেন, ‘বন্যপ্রাণীর সুপেয় পানির জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক মিঠাপানির পুকুর খনন করা হয়েছে। সুন্দরবনে বর্তমানের ১১৪টি বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করতে কাজ করছে সরকার।’
বাঘ সংরক্ষণে সবাইকে সম্পৃক্ত করতে জনসচেতনতা বাড়ানোরও উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান হাবিবুন নাহার।
প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচিব মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিদ মজুমদার বাবু।