শ্রাবণের আকাশজুড়ে ঘুরে বেড়ায় মেঘের দল। আপন খেয়ালে তারা ঝরে পড়ে বৃষ্টি হয়ে। সে বৃষ্টি কখনো ক্ষণিকের তরে, কখনো হয় মুষলধারে।
১৪২৮ বঙ্গাব্দের ১২ শ্রাবণে রাজধানীর আকাশে মেঘের সে খেয়াল চোখে পড়ল।
সকালে সড়কে সড়কে মানুষ যখন ছুটছে অফিসপানে, মেঘের গর্জন তখন গগনে। একটু পরই তা নামে ক্ষণিকের স্নিগ্ধ বৃষ্টি হয়ে।
এরপর রং বদলায় আকাশ। বাদলের ঝাপটা শেষে উঁকি দেয় রোদ্দুর।
রোদ-বৃষ্টির এ লুকোচুরির আভাস আগের দিনেই দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাদের সোমবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, মৌসুুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ ভারতের রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে অসম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয়। এটি উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর তার পূর্বাভাসে জানিয়েছিল, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সকালে ক্ষণিকের বৃষ্টিতে ভিজেছিল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা। ছবি: ইমরান হোসেন মিলন/নিউজবাংলা
তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছিল, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।