মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের একটি চা-বাগান থেকে একটি মৃত কিং কোবরা সাপ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ ও বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী ফাউন্ডেশন।
এ সময় একটি মৃত খৈয়া গোখরা ও তিনটি জীবিত সাপ উদ্ধার করা হয়।
উপজেলার জেরিন চা-বাগানের বিষামণি মাঝের চৌমূহনা এলাকার প্রয়াত সুমন সাপুড়ের বাড়ি থেকে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক দফায় সাপগুলোকে উদ্ধার করা হয়।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব।
তিনি জানান, চৌমূহনা এলাকার সাপুড়ে সুমন গত বৃহস্পতিবার জেরিন চা-বাগান থেকে একটি কিং কোবরা সাপ ধরে বাড়িতে এনে রাখেন। শনিবার দুপুরে অন্যান্য সাপের সঙ্গে ওই কিং কোবরা সাপটিকে নিয়ে খেলা দেখাতে গেলে সেটি সুমনের হাতে ছোবল দেয়। সুমনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
তিনি আরও জানান, রোববার বিষয়টি বনবিভাগকে জানালে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার মিত্র ও বন বিভাগের লোকজন অভিযান চালান। বিকেল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত কয়েকদফায় সুমনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি শপিং ব্যাগের মধ্যে মৃত কিং কোবরা ও খৈয়া গোখরা সাপ দুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় দুইটি দাঁড়াস সাপ ও একটি কাল নাগিনী সাপকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
সজল দেব বলেন, ‘কিং কোবরা সাপটি বিশ্বে বিরল প্রজাতির সাপ হিসেবে চিহ্নিত। এটি একটি হাতিকে ছোবল দিলে হাতিও মারা যায়।’
বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার মিত্র নিউজবাংলাকে জানান, উদ্ধারকৃত মৃত সাপগুলোকে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে। জীবিত সাপ তিনটিকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের জানকিছড়া রেসকিউ সেন্টারে রাখা হয়েছে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে সোমবার সাপ তিনটিকে লাউয়াছড়া বনে অবমুক্ত করা হবে।