স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘নদী দূষণমুক্ত রাখতে শুধু শিল্প-কলকারখানার নয়, গৃহস্থালি, মেডিক্যাল এবং কৃষিসহ সব ধরনের বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে।’
মেঘনা নদীর জন্য মাস্টারপ্ল্যান তৈরিতে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির ওয়ার্কশপে বৃহস্পতিবার অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় মাস্টারপ্ল্যানের জন্য প্রণীত ইনসেপশন রিপোর্ট উপস্থাপন করে ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম)।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকাসহ দেশের নদীগুলোতে পয়োবর্জ্য ও শিল্পবর্জ্যসহ অন্যান্য কলকারখানার বর্জ্য নিয়মিতভাবে ফেলায় পানি দূষিত হচ্ছে। এতে করে পানির গুণগত মান নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি মাছের প্রজনন ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই মেঘনা নদীর দূষণরোধ, দখলমুক্ত এবং নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। মাস্টারপ্ল্যানটি প্রণয়ন করা হলে মেঘনা নদীকে রক্ষা করা সম্ভব হবে বলেও মনে করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে পানি সরবরাহের লক্ষ্যে মেঘনা নদী থেকে পানি উত্তোলন করবে ঢাকা ওয়াসা। কিন্তু কী পরিমাণ পানি তোলা হলে নদী তার স্বকীয়তা হারাবে না- এ সম্পর্কে আমাদের কোনো সুনির্দিষ্ট স্টাডি রিপোর্ট নেই।’
তাই মাস্টারপ্ল্যানে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে পরামর্শকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন তাজুল ইসলাম।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের সঞ্চালনায় কর্মশালায় এএফডি, কেএফডি, ইআইবি, এডিবিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী প্রতিনিধিরা ছাড়াও, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও সংস্থার প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকরা অংশ নেন।
এ বছরের শুরুতে মেঘনা নদীকে দখল, দূষণ এবং নাব্যতা সংকট থেকে রক্ষা করতে একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির উদ্যোগ নেয় সরকার।
ঢাকা ওয়াসার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডাব্লিউএম) এবং সেন্টার ফর এনভায়রমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) সঙ্গে চুক্তি সই হয়।