নিউজিল্যান্ডে ২৩৪টি ভেড়ার মৃত্যুর ঘটনায় নয় মাস গৃহবন্দি থাকার শাস্তি দেয়া হয়েছে প্রাণীগুলোর মালিককে। একই সঙ্গে প্রাণিকল্যাণ আইন অনুযায়ী ১৫০ ঘণ্টা সেবামূলক কাজও করতে হবে তাকে।
নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভেড়াগুলো তীব্র অপুষ্টিতে ভুগে অবর্ণনীয় কষ্ট পাচ্ছিল বলে ওষুধ প্রয়োগ করে সেগুলোকে মেরে ফেলতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন।
এ ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত কৃষক বিভান স্কট স্বপক্ষে দেয়া যুক্তিতে বলেছেন, তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন; ভেড়াগুলোর যত্ন নেয়ার জন্য কারো সাহায্য পাননি।
আগামী চার বছরের জন্য তার ওপর পশুপালন ও খামার ব্যবস্থাপনায় নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে আদালত।
২০১৯ সালে বেশ কয়েকটি মৃত ভেড়ার সন্ধান মিললে কর্তৃপক্ষের নজরে আসে স্কট ও তার খামার।
তদন্তে খামারের অনেক প্রাণীকে না খাইয়ে রাখার প্রমাণ মেলে। অনেক পশুর দেহে মাছি বাসা বেঁধেছিল; ভর্তি ছিল মাছির ডিমে। প্রায় দুই বছর ধরে লোম কাটা হয়নি অনেকগুলো ভেড়ার।
ওই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয় ওই খামারিকে। কিন্তু গত বছরের আগস্টে জানা যায় যে, খামারের প্রাণীদের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।
পরে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়ে ২২৯টি ভেড়াকে মেরে ফেলে। খামারের আরও ৩৮৭টি ভেড়া, প্রায় এক শ ভেড়ার বাচ্চা ও ৩৫টি বাছুরকে বিক্রি আর অন্য কৃষকদের খামারে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়।
নিউজিল্যান্ডের অর্থনীতির অন্যতম বড় খাত পশুপালন। প্রায় ৫০ লাখ মানুষের দেশটিতে ভেড়ার সংখ্যাই দুই কোটি ৬০ লাখ।
দেশটিতে প্রাণীদের প্রতি অবহেলার ঘটনা বিরল।