বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আ.লীগের নাম ভাঙানো আরেক ভুঁইফোঁড় নেতা মনিরের ফটোশপকাণ্ড

  •    
  • ১ আগস্ট, ২০২১ ১৯:০৪

বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ নামে ভুঁইফোঁড় সংগঠনটি খুলে বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের ছাত্রসংগঠন ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের অনেক নেতাকে টাকার বিনিময়ে পদ দিয়েছেন মনির খান। জমির দালালি এবং তদবির-বাণিজ্য করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। এখন চাইছেন কেরানীগঞ্জ ও সাভারের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত ঢাকা-২ আসনের এমপি হতে।

হেলেনা জাহাঙ্গীরকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শেষ না হতেই আলোচনায় এসেছেন মো. মনির খান, যিনি বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ নামে আরেকটি ভুঁইফোঁড় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাসীন দলটির অনেক নেতার সঙ্গেই তার ‘ওঠা-বসার ছবি’ আছে। অভিযোগ আছে, এর সব ছবিই ফটোশপে কারসাজি করা। তিনি ভুঁইফোঁড় সংগঠনটি খুলে বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের ছাত্রসংগঠন ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের অনেক নেতাকে টাকার বিনিময়ে পদ দিয়েছেন। এ ছাড়া জমির দালালি এবং তদবির-বাণিজ্য করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। এখন চাইছেন কেরানীগঞ্জ ও সাভারের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত ঢাকা-২ আসনের এমপি হতে।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদের মতো সংগঠনের সঙ্গে সঙ্গে দলটির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। যারা এ ধরনের ভুঁইফোঁড় সংগঠন চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মনির খান প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ছবি কারসাজি করেছেন। তাকে যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করা হবে।

তবে মনির খান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, তিনি অপপ্রচারের শিকার।

আওয়ামী লীগ এবং দলটির সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা জানান, বছর ১৫ আগে রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ের উল্টো পাশের একটি কাপড়ের দোকানে দরজির কাজ করতেন এই মনির খান। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দলটির রাজনীতিতে সক্রিয় হতে শুরু করেন তিনি। মুজিব কোট পরে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যোগ দিতে থাকেন। তবে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ের চেয়ে তাকে বেশি দেখা যেত ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে। কারণ, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়েই একসময় দরজির কাজ করতেন মনির খান।

চাকরিজীবী লীগ নামে একটি ভুঁইফোঁড় সংগঠনের জন্ম দিয়ে আলোচনায় আসা হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গত ২৯ জুলাই রাতে আটকের পরপরই আলোচনা শুরু হয় এই মনির খানকে নিয়ে। আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা সরব হন তার বিরুদ্ধে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে তার বিরুদ্ধে আইনি ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।

ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী ইয়াসির আরাফত রুবেল ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ফটো এডিট করে শেখ হাসিনা পরিষদ নামে নামে ভুঁইফোঁড় সংঘঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনির খান ওরফে দরজি মনিরকে কেন এখনো গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না, মাননীয়রা কি উত্তর দিবেন?”

যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ছাত্রলীগের সাবেক নেতা গোলাম ইরতেজা মনি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে মনির খানের একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পাশের চেয়ারে বসা এই ভদ্রলোক কি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার?’

ইয়াসির আরাফত রুবেল ও গোলাম ইরতেজা মনির মতো ছাত্রলীগ-যুবলীগের আরও অনেক সাবেক ও বর্তমান নেতা মনির খানকে নিয়ে ফেসবুকে এ ধরনের পোস্ট দিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন। একই দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

নাম না প্রকাশের শর্তে আওয়ামী লীগের উপকমিটি ও যুবলীগের একাধিক নেতা নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, ২০০৪-০৫ সালের দিকে তারা যখন ছাত্রলীগ করতেন, তখন নিয়মিতই বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের পার্টি অফিসে যেতেন। পার্টি অফিসের ঠিক বিপরীত পাশের একটি কাপড়ের দোকানে দরজির কাজ করতেন এই মনির খান।

‘আমরা ওই দোকানের সামনে যখন চা খেতাম, তখন মাঝে মাঝে মনির খানও আমাদের সঙ্গে এসে আড্ডা দিত। তখন তার ঘাড়ে কাপড় মাপা ফিতা থাকত’, বলেন তাদের একজন।

তিনি আরও বলেন, ‘এরপর হঠাৎ একদিন দেখি ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ অফিসে মুজিব কোট গায়ে দিয়ে মনির খান ঘুরে বেড়াচ্ছে। কথা বলে জানতে পারলাম, সে বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ নামে একটি সংগঠনের সভাপতি হয়েছে।’

তীব্র হতাশা প্রকাশ করে ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা বলেন, ‘এরপর মনির খানকে আমি মাঝে মাঝেই পার্টি অফিসে বড় বড় নেতার সঙ্গে দেখতাম। নেতারাও আমাদের থেকে তাকেই বেশি মূল্যায়ন করত। মনিরের বেশভূষা দেখেই বোঝা যেত, সে অনেক টাকার মালিক হয়ে গেছে।

‘পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, মনির খান কেরানীগঞ্জ এলাকায় জমির দালালি করে প্রচুর টাকা বানিয়ে ফেলেছে। তা ছাড়া সে সারা দেশে তার ভুঁইফোঁড় সংগঠনের কমিটি দেয়ার নামে বাণিজ্য করে প্রচুর টাকা কামিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত, ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের নেতাদেরও টাকার বিনিময়ে তার বানোনো দলে পদ দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘শুধু তাই না, এই মনির তার ভুঁইফোঁড় সংঘঠনের নামে জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক প্রোগ্রাম করে। সেখানে সে আওয়ামী লীগের বড় নেতা ও মন্ত্রীদের প্রধান অতিথি হিসেবে রাখে।

‘এভাবে সে বড় বড় নেতা ও মন্ত্রীর কাছের লোক হয়ে যায়। পরে তাদের কাছে বিভিন্ন তদবির-বাণিজ্য করে। এভাবেই মনির কয়েক বছরে অঢেল অর্থসম্পত্তি বানিয়ে ফেলে এখন ঢাকা-২ আসনের এমপি হতে চাইছে।’

এসব অভিযোগের সত্যতা জানতে নিউজবাংলা রোববার খোঁজ নেয় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের সামনের কাপড়ের দোকানগুলোয়। করোনার কারণে লকডাউন চলায় সব দোকান বন্ধ ছিল; তাই দোকানমালিকদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। পরে মোবাইল ফোনে কথা হয় আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ের বিপরীত পাশের মাদারীপুর বস্ত্র বিতানের মালিক মো. হিরনের সঙ্গে।

হোয়াটসঅ্যাপে মনির খানের ছবি দিয়ে তার সম্পর্কে জানতে চাইলে হিরন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘না, আমি এই মনির খানকে চিনি না। সে আমার দোকানে কোনো দিন কাজ করেনি। তবে আমাদের আশপাশে এই রকম আরও অনেক টেইলার্সের দোকান আছে, সেখানে কাজ করতো কিনা জানি না।’মনির খানের ফেসবুক ঘেঁটে দেখা গেছে, ১০ হাজারের বেশি ফলোয়ার রয়েছে তার। প্রোফাইল পিকচারে মুজিব কোট ও চাদর পরা একটি ছবি আছে মনির খানের। ওই চাদরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রতীক নৌকা এবং সেই নৌকায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাসংবলিত একটি ব্যাচ রয়েছে। মনির খানের কাভার ফটোতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে তার একটি ছবি আছে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরও কিছু ছবি আছে তার ফেসবুকে। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গেও ছবি দিয়েছেন তিনি।

এ ছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতার সঙ্গে তার ‘ওঠা-বসার ছবি’ দেখা যায় ফেসকুকে। ছবিগুলো ভালো করে লক্ষ করলে বোঝা যায়, খুব সূক্ষ্মভাবে সম্পাদনার মধ্যমে শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ছবির জায়গায় নিজের ছবি বসিয়ে সেগুলো প্রচার করছেন মনির খান। ফটোশপে কারসাজি করা এসব ছবির বেশির ভাগেই তার চেহারা অন্যদের তুলনায় বড় দেখাচ্ছে।

নিউজবাংলা এ ধরনের কয়েকটি ছবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেনকে দেখিয়ে মন্তব্য জানতে চায়।

তিনি বলেন, ‘অফিশিয়ালভাবে আসলে ছবির ফরেনসিক অ্যানালাইসিস না করে আমরা মন্তব্য করি না। তবে আন-অফিশিয়ালি যদি বলি, তাহলে ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে, এগুলো প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি করা। এটা শুধু আমি না, যেকোনো মানুষই এই ছবি দেখলেই বলবে, এগুলো এডিট করে করা।’

ফেসবুক আইডিতে মনির খানের পরিচয় অংশে লেখা আছে, ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটিতে সহ-সম্পাদক ছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য হন। তিনি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলার রূপসী গার্মেন্টস লিমিটেড, যার ব্যবস্থাপক পরিচালক তিনি। বাংলাদেশ সময় প্রতিদিন নামে একটি পত্রিকার প্রধান উপদেষ্টা তিনি।

এ ছাড়া গ্লোবাল ৪১ ইঞ্জিনিরিং অ্যান্ড কনসালটেন্ট লিমিটেড, পোশাক মেলা ফ্যাশন হাউস প্রাইভেট লিমিটেড এবং অটিজম বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ভয়েস সোসাইটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ফেসবুকে তিনি তার প্রায় সব পোস্টেই নিজেকে বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তিকারী তারেক জিয়ার মামলার বাদী দাবি করেছেন।

মনির খান তার ফেসবুকে লিখেছেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ঢাকা-২ আসনে আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন। আরেক জায়গায় তিনি লিখেছেন, ‘এমপি পদপ্রার্থী ঢাকা-২ আসন, আওয়ামী লীগ।’

তার এমন পরিচিতি ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতে নিউজবাংলা কথা বলেছে ঢাকা-২ আসানের সাবেক আরেক এমপি প্রার্থী বর্তমানে কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শহীন আহম্মেদের সঙ্গে। মো. মনির খান নাম শুনেই তিনি বলেন, ‘মনির খান নামে আমি কাউকে চিনি না। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন যেমন যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ করলে হয়তো তাকে চিনতাম। ভুঁইফোঁড় কোনো সংগঠনের কাউকেই আমি চিনি না।’

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মনির খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাজনীতি করলে পতিপক্ষ থাকবেই। আমার পতিপক্ষরাই আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। একটা মানুষ তো সবার কাছে ভালো থাকতে পারে না।’

প্রধানমন্ত্রী ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে ছবির বিষয়ে প্রশ্ন করতেই ‘মিটিংয়ে আছি’ বলে সংযোগ কেটে দেন মনির খান।

তার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে প্রত্যেক নাগরিকের বিধিবদ্ধ সংগঠন করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু প্রতারণা করার অধিকার কারও নেই।

‘কতিপয় সুযোগসন্ধানী দুষ্ট ব্যক্তি জাতির পিতা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের নামের অপব্যবহার করে ফায়দা হাসিল করছে। এদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে, আরও জোরদার হবে।’

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর-রশীদ রোববার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মনির খান প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ব্যক্তির ছবির সঙ্গে নিজের ছবি জুড়ে দিয়েছেন। তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে এসব ছবি ব্যবহার করেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাকে নজরদারিতে রেখেছি, যে কোনো সময় গ্রেপ্তার করা হবে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা নিউজবাংলাকে জানান, মনিরের গ্রামের বাড়ি মাদরীপুরের কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে। তার বাবা অনেক আগেই ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় চলে আসেন। সেখানে তিনি মাটি কাটার কাজ করতেন। মনির এখন পরিবারসহ কেরানীগঞ্জ এলাকায় বাসবাস করেন। এই করণেই ওই এলাকার (ঢাকা-২ আসন) এমপি হতে চান। মনিরের বর্তমানে একাধিক স্ত্রী আছেন।

আওয়ামী লীগ নেতারা যা বলছেন, বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদের মতো ৭২টি ভুঁইফোঁড় সংগঠনের সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হচ্ছে যুবলীগ, মহিলা লীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, তাঁতী লীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও মৎস্যজীবী লীগ। জাতীয় শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগ হলো দলটির ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন। আর মহিলা শ্রমিক লীগ ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ আওয়ামী লীগের ‘নীতিগত’ অনুমোদিত সংগঠন।

ভুঁইফোঁড় সংগঠনগুলোকে সতর্ক করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি। আমাদের সুনির্দিষ্ট কয়েকটি সহযোগী সংগঠন ছাড়া বাকি যেগুলো আছে, আওয়ামী লীগের নামে বিভিন্নজন করেছে, এগুলোর কোনো সাংগঠনিক ভিত্তি নেই।

‘এরা বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের নামটা ব্যবহার করে তাদের সুবিধা ভোগ করার জন্য অবৈধ এ পন্থা অবলম্বন করেছে। এদের বিরুদ্ধে আগেও আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। প্রশাসনকে সে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। সে সময় অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছিল এবং তাদের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন আবার এ রকম কয়েকটি সংগঠনের নাম শোনা যাচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর