বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দূরপাল্লার ‘নিষিদ্ধ’ বাসের যাত্রী নিউজবাংলার প্রতিবেদক

  •    
  • ৭ মে, ২০২১ ২১:৫৯

ঢাকার মূল শহরের বাইরে হেমায়েতপুর থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে যাত্রীবাহী বাস। সন্ধ্যা পার হওয়ার পর শুরু হয়ে যাত্রা। এমনই একটি বাসে পরিচয় গোপন করে যাত্রী হয়েছেন নিউজবাংলার দুই প্রতিবেদক। দেখা গেছে, মহাসড়কে পুলিশ চেকপোস্টে টাকার বিনিময়ে ছাড় পাচ্ছে দূরপাল্লার বাস।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় গত ৫ এপ্রিল সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। সেদিন থেকে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস চলাচল।

গত ৬ মে সিটি ও জেলা শহরে গণপরিবহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হলেও দূরপাল্লার বাসে কোনো ছাড় দেয়া হয়নি। তবে ঈদের আগে ঘরমুখী মানুষের চাপ আর শ্রমিকদের নিরুপায় অবস্থার মধ্যে সরকারের সেই নিষেধাজ্ঞার বাস্তব চিত্র কী, তা অনুসন্ধান করেছে নিউজবাংলা।

নিউজবাংলার কাছে তথ্য রয়েছে, সূর্য ডুবলেই এক জেলা থেকে অন্য জেলায় চলছে বাস। ঢাকা থেকে দ্বিগুণ ভাড়া দিলেই নির্বিবাদে যাওয়া যাচ্ছে দেশের যে কোনো গন্তব্যে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে কীভাবে যাচ্ছে দূরপাল্লার বাস, যাত্রী হচ্ছেন কারা, স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কতটা, এসব সরেজমিন অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজবাংলা। পরিচয় গোপন করে একটি দূরপাল্লার রুটের বাসে যাত্রী হন দুই প্রতিবেদক।সম্পাদকীয় নীতিমালা অনুযায়ী, এই প্রতিবেদনে কোনো বাস কোম্পানি বা সংশ্লিষ্টদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

প্রতিবেদনটির একমাত্র উদ্দেশ্য, সরকারের নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে কতটা কার্যকর হচ্ছে, সেটি অনুসন্ধান করা।

ঢাকা থেকে লালমনিরহাটের বুড়িমারী পর্যন্ত যেতে একটি বাস কোম্পানির এক কর্মীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয় নিউজবাংলার দুই প্রতিবেদকের।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে ওই কর্মীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাসে করে লালমনিরহাট যাওয়ার কোনো উপায় আছে কিনা। তিনি কোম্পানির আরেক জনের সঙ্গে কথা বলার জন্য সময় নেন। কিছুক্ষণ পর কল করে জানান, যাওয়া যাবে। রাতে তাদেরই কোম্পানির একটি বাস হেমায়েতপুর থেকে ছেড়ে যাবে।

ওই কর্মী এক জনের ফোন নম্বর দিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। ওই ব্যক্তিকে ফোন করে জানা যায়, হেমায়েতপুর পার হয়ে একটি সিএনজি স্টেশন রয়েছে। সেখান থেকেই তাদের পরিবহনের একটি নন এসি বাসে করে লালমনিরহাট যাওয়া যাবে।

ভাড়ার বিষয়ে ওই ব্যক্তি বলেন, জনপ্রতি ১৩০০ টাকা করে লাগবে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই সিএনজি স্টেশনে গিয়ে যাওয়ার ভাড়া বুঝিয়ে দিতে হবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্বাভাবিক সময়ে এ ধরনের বাসে লালমনিরহাটের বুড়িমারী পর্যন্ত ভাড়া ৬০০ টাকার মতো।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিউজবাংলা কার্যালয় থেকে হেমাযেতপুরের উদ্দেশে বের হন দুই প্রতিবেদক। হেমায়েতপুরের ওই সিএনজি স্টেশনে তারা পৌঁছান ৭টা ১০ মিনিটে। তবে তখনও নির্ধারিত বাস ও ফোনে যোগাযোগ হওয়া ব্যক্তি সেখানে আসেননি।

ফোন করা হলে তিনি জানান, গাড়ি আসতে আরও সময় লাগবে।

বাসের চালক এখন চালাচ্ছেন ট্রাক

এক মাসের বেশি সময় ধরে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন বহু পরিবহন শ্রমিক। তাদের অনেকে বাধ্য হয়ে ট্রাকসহ বিভিন্ন ছোট যান চালাচ্ছেন।

এমনই একজন আনোয়ার হোসেন। হেমায়েতপুরের সিএনজি স্টেশনে নিউজবাংলার দুই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘গাড়ি না চালাইলে আমার ইনকাম বন্ধ। আমি বাস চালাইতাম। একমাস হয় বাস বন্ধ। এখন বাস ছেড়ে ট্রাক চালাই।

‘গরিবের ঘরে এক মাস চলার খোরাকি থাকে না। বাধ্য হয়েই রাস্তায় নামতে হয়।’ ।

ঢাকা থেকে বগুড়া যাওয়ার জন্য একটি পিকআপ ভ্যানে চড়ে বসেছেন রাজু ও তার স্ত্রী আকলিমা। রাজু থাকেন মিরপুরে। কাজ করতেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। গত মাসেই তার চাকরি চলে যায়। এপ্রিল মাস জুড়ে চাকরি খুঁজে ব্যর্থ হয়ে পরিবার নিয়ে গ্রামে ফিরে যাচ্ছিলেন রাজু।

তিনি বলেন, ‘ট্রাক ও পিকআপে করে ঢাকার বাইরে যাওয়া যায়। আমার এক আত্মীয়ও গতকাল ঢাকা থেকে বগুড়া গিয়েছে। তার কথা মতো আমরা আমিন বাজার ব্রিজ পার হয়ে এই পিকআপ ভ্যান পেয়েছি।’

দূরপাল্লার বাস না থাকায় বিকল্প এই পথ ধরা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না বলে বলে জানান রাজু।

বিভিন্ন গন্তব্যে ছাড়ছে বাস

সিএনজি স্টেশনে তখন আরও অনেক যাত্রী অপেক্ষারত। একেক জনের গন্তব্য উত্তরবঙ্গের একেক জায়গায়। তাদের নির্ধারিত বাসগুলোও ছাড়বে এখান থেকেই।

এক ঘণ্টার মধ্যে দুটি বাস যাত্রী বোঝাই করে ছেড়ে যায় বগুড়ার উদ্দেশে। এর মধ্যে একটি বাসের সুপারভাইজার জানান, বগুড়া পর্যন্ত যেতে ভাড়া লাগবে জনপ্রতি ১২০০ টাকা, স্বাভাবিক সময়ে এই ভাড়া ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। এসব বাসে প্রতিটি আসনেই রয়েছে যাত্রী, এক সিট ফাঁকা রেখে যাত্রী বসানোর তোয়াক্কাও নেই রাতের আঁধারে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া বাসগুলোতে।

বাড়তি ভাড়া নেয়ার কারণ হিসেবে কয়েকটি বাসের চালকেরা জানান, পথে পথে চেকপোস্টে পুলিশ গাড়ি আটকায়। প্রতিটি চেকপোস্টে ৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত পুলিশকে দিতে হয়। এই টাকা পেলে রাতের আধাঁরে চলা যাত্রীবাহী বাসগুলো পুলিশ ছেড়ে দেয়।

তারা জানান, মির্জাপুরের আগে ও যমুনা সেতুর কাছে চেকপোস্ট আছে। এছাড়া, অস্থায়ী কিছু চেকপোস্ট হঠাৎ হঠাৎ বসায় হাইওয়ে পুলিশ।

নিউজবাংলার দুই প্রতিবেদকের বাস তখনও আসেনি। তবে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফোন করা হলে আশ্বস্ত করেন বাসটির ওই ব্যক্তি। তিনি বলেন, আর ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।

রাত ঠিক ৮টা ৪৫ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত সেই বাস এসে পৌঁছায় সিএনজি স্টেশনে। দেখা হয় ফোনে যোগাযোগ হওয়া সেই ব্যক্তির সঙ্গে। সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে জানান, তিনিই এই গাড়ির মালিক। তার আরও নয়টি গাড়ি রয়েছে।

ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আপনারা দেরি করে যোগাযোগ করছেন, তাই সামনের দিকে সিট দেয়া যাবে না।’

তবে হাতে বাড়তি কিছু টাকা গুঁজে দিতেই তিনি উৎসাহ নিয়েই নিউজবাংলার দুই প্রতিবেদককে বাসের দ্বিতীয় সারিতেই বসার ব্যবস্থা করে দেন।

পরিচয় ‘ধান কাটা শ্রমিক’, সামনের আসনে নারী যাত্রী নয়

বাস মালিক জানান, ঝামেলা এড়াতে বাস চলাচলের অনুমতি নেয়া হয়ছে ধান কাটা শ্রমিক পরিবহনের জন্য। এজন্য সামনের দিকের দুই সারির আসনে নারী যাত্রীদের বসা নিষিদ্ধ।

বাস মালিক বলেন, ‘এখন ধান কাটার মৌসুম চলছে। গাড়িতে ধান কাটার শ্রমিক রয়েছে বলে প্রশাসনের লোকদের একটা বুঝ দেয়া হয়। এটা বলার জন্যই বলা।’

তিনি বলেন, ‘রাস্তায় আটকালে যাত্রীরা ধান কাটা শ্রমিক না ঘরমুখী মানুষ, তা চেক করে না পুলিশ। তবে, গাড়ি আটকালে এটা বলে একটা অজুহাত সামনে আনা হয়। পুলিশও জানে, এতে ধান কাটা শ্রমিক নেই। সেজন্য চেক না করলেও গাড়ি আটকালে টাকা দিতে হয়।’

উত্তরের পথে যাত্রা শুরু

রাত ৮টা ৫০ এ সিএনজি স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে বাসটি। ওই স্টেশন থেকে নিউজবাংলার দুই প্রতিবেদক ছাড়াও ওঠেন আরও ২০ যাত্রী। এরপর হেমায়েতপুর থেকে সাভারের জিরানীবাজার যাওয়ার মধ্যেই ৫২ আসনের প্রতিটি যাত্রীতে পূর্ণ হয়ে যায়। জনপ্রতি ভাড়া ১২০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত।

দরজার পাশের সুপারভাইজারের ছোট আসনে বাসের সেই মালিকও আছেন। গল্পছলে তিনি দুই প্রতিবেদককে বলেন, ‘টেকনিক করে এখন গাড়ি চালাতে হচ্ছে। রাস্তায় কেউ গাড়ি আটকালে মন্ত্রী-এমপির পরিচয় দিতে হয়। আবার কখনও ধান কাটা শ্রমিক পরিবহনের কথা বলি। তবে যত কৌশলই ব্যবহার করা হোক পুলিশ আটকালে টাকা ছাড়া রেহাই নাই।’

অন্ধকার মহাসড়কের বুক চিরে একের পর এক ছুটে যাচ্ছে মালবাহী ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস। প্রতিটিতেই আছে উত্তরবঙ্গমুখী সাধারণ মানুষ। নিউজবাংলার দুই প্রতিবেদক যে বাসে চড়েছেন, সেটিকে ওভারটেক করে একের পর এক যাত্রীবাহী বাসও ছুটে যাচ্ছিল যমুনা সেতুর দিকে।

চলাচল ঠেকাতে নয়, টাকার জন্য চেকপোস্ট

দূরপাল্লার বাসের এই ‘নিষিদ্ধ’ যাত্রার সুযোগ ষোলআনাই নিচ্ছে পুলিশ। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দূরপাল্লার বাস বন্ধ করার জন্য নয়, বরং সেগুলো থেকে টাকা নিতে থামানো হচ্ছে বিভিন্ন চেকপোস্টে।

সাভারের বাইশমাইল এলাকায় প্রথমবার পুলিশ থামায় নিউজবাংলার দুই প্রতিবেদকের বাসটিকে। তাদের থামানোর সংকেত দেখেই তৎপর হয়ে ওঠেন বাসের মালিক। গাড়ি থেকে নেমে পুলিশের একজন লাইনম্যানের কাছে তিন শ টাকা বুঝিয়ে দেন, এরপর আবার যাত্রা শুরু।

পুলিশের পরবর্তী চেকপোস্ট সম্পর্কে রাস্তায় সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন বাস মালিক। তার নির্দেশনা মেনেই বাস চালাচ্ছেন চালক। কোথাও থামার সংকেত পেলে নিজেই নেমে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ‘রফা’ করছেন।

রাত ১০ টা ৪৫ মিনিটে দ্বিতীয়বারের মতো মির্জাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের সামনে বাসটি থামায় হাইওয়ে পুলিশ। এখানে ৫০০ টাকার বিনিময়ে মিলল ছাড়।

কিছুদূর যাওয়ার পর টাঙ্গাইলের নগর জালৈফ বাইপাস এলাকায় আবার চেকপোস্ট। বাসটি থামিয়ে হাইওয়ে পুলিশের একজন সদস্য দরজায় উঠে দাঁড়ান। বাসটি কিছুদূর নিয়ে গিয়ে একপাশে থামানোর পর পুলিশের সেই সদস্যের সঙ্গে শুরু হয় বাস মালিকের দেনদরবার।

দেখা যায়, গাড়ি ছেড়ে দিতে বাস মালিক টাকা গুঁজে দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যের হাতে, তবে তিনি বারবার গাড়ির কাগজ চাচ্ছেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে টাকার অংকও বাড়ছে। এক সময় ওই পুলিশ সদস্য ‘উপযুক্ত’ টাকা পেয়ে বাস ছেড়ে দিতে রাজি হন। বিজয়ীর হাসি দিয়ে ফিরে আসের বাস মালিক।

এতক্ষণের দেনদরবারে যাত্রীরা কিছুটা আতঙ্কে পড়িছেলেন। তবে বাস মালিক ফিরে এসে সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আপনাদের কিছু হবে না, টেনশন নিয়েন না।’

নিউজবাংলার দুই প্রতিবেদককে বাস মালিক বলেন, ‘প্রথমে ৫০০ দিছি, মানে না। কাগজ চায়। কইলাম, সংসার চালাইতে হইব, আমাদের একটু চলতে দেন। এই বইলা আরও ২০০ দিলাম। তাও মানে না। বলে, কাগজ নিয়া নিচে নাম। নামছি না দেখে এক হাজার মিলাই দিতে বলল।

‘তখন তার পায়ে হাত রেখে বললাম, মাফ করেন, আমাদের বাঁচান। এই বলে আরও ১০০ টাকা দিয়া কইলাম, স্যার এইবার যাইতে দেন, তারপর ছাইড়া দিলো।’

বাসটি এবার বিনা বাধায় পার হয়ে যায় যমুনা সেতু। যমুনার ওপারের সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা এলাকায় একটি হোটেলে যাত্রাবিরতি। রাত তখন ১টা পার হয়ে গেছে। নিউজবাংলার দুই প্রতিবেদক উত্তরের দিকে আর না এগোনোর সিদ্ধান্ত নেন।

এই হোটেলে সাধারণত ট্রাক চালকেরা যাত্রাবিরতি করেন। তবে গভীর রাতের নিষিদ্ধ যাত্রীবাহী বাসও এখন থামছে এখানে। হোটেলটিতে প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করে বেশকিছু যাত্রীবাহী বাসের চালক, যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন নিউজবাংলার দুই প্রতিবেদক। এ সময়ে দেখা গেছে, বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কারের পাশাপাশি ট্রাক, পিকআপেও ঢাকা ছাড়ছে অসংখ্য মানুষ।

ঢাকা ফেরার উপায় ওই শেষ রাতে বের করা ছিল কঠিন। হোটেলের কর্মীরা জানান, ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছানোর পর বাসগুলো আমার ফিরতি যাত্রা করে দুপুরের দিকে। সন্ধ্যার পর সেগুলো ঢাকায় পৌঁছে রাতে আবার বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায়।

তবে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে ঢাকা ফেরা সম্ভব যে কোনো সময়েই। তেমনই একটি প্রাইভেট কারে শুক্রবার সকালে ঢাকা ফেরেন নিউজবাংলার দুই প্রতিবেদক।

পুলিশ যা বলছে

হাইওয়ে পুলিশের বগুড়া অঞ্চলের পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকারের কাছে মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস চলাচলের বিষয়ে জানতে চেয়েছে নিউজবাংলা। তিনি বলেন, ‘রাতের আঁধারে কোনো বাস চললে বা যাত্রী পরিবহন করলে আমরা প্রত্যেকটা গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছি। সরকারি প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত বিধিনিষেধ মেনে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

নিউজবাংলার দুই প্রতিবেদকের অভিজ্ঞতা জানানো হলে শামসুল আলম বলেন, ‘ধান কাটা শ্রমিক ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লোকজন পরিবহনের জন্য কিছু বাস চলছে।’

যাত্রাপথে বেশ কয়েক জায়গায় পুলিশকে টাকা দিতে হয়েছে, এমন তথ্য জানালে হাইওয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এ ধরনের কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

এ বিভাগের আরো খবর