ভারতের নতুন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর জন্য শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং।
সোমবার ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেয়ার পর দ্রৌপদীকে এই শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান তিনি।
দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত সীমান্ত বিরোধের মধ্যে চীনের প্রেসিডেন্টের বার্তা সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করল বলে মনে করা হচ্ছে।
অভিনন্দন বার্তায় শি বলেছেন, রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে, সঠিকভাবে মতপার্থক্যের মীমাংসা করতে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত আছি।
পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ভারত-চীন সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। মুর্মুকে অভিনন্দন বার্তাটি প্রায় এক বছরের মধ্যে ভারতের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্টের প্রথম যোগাযোগ বলে মনে করা হচ্ছে।
গত বছরের ৩০ এপ্রিল যখন ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভয়াবহ আকার ধারণ করে তখন শি চিনপিং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন। এতে তিনি ভারতকে মহামারি নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতার কথা বলেন।
শুভেচ্ছা বার্তায় শি চিনপিং বলেছেন, চীন ও ভারতের সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক বিশ্বাসকে বজায় রাখতে দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে কাজ করতে আমরা তৈরি। সুস্থ ও স্থিতিশীল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক তৈরি করতে এটা খুব কার্যকর পদক্ষেপ হবে। পারস্পরিক মতবিরোধকে সঠিকভাবে মিটিয়ে নিলে এই কাজ সহজ হবে।
চীনা প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ককে দুই দেশের স্বার্থে, শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার স্বার্থে আলোচনা জারি রাখা দরকার।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাকিস্তানে সন্ত্রাস ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে চীন বরাবরই ভারতের চিরশত্রু পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়। তবে করোনা ইস্যুতে পাশে থাকার কথা বলে চীনা প্রেসিডেন্টকে চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাতে ভারত সরকারকে ধন্যবাদও জানায় চীন।
২০২০ সালে শুরু হওয়া সীমান্ত দ্বন্দ্বের পর ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্কে টানাপড়েন তৈরি হয়েছে। ভারত ও চীনের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৬ দফা আলোচনা হয়েছে। যৌথ বিবৃতিতে দুই দেশ বলেছে, যোগাযোগ ও সংলাপ বজায় থাকবে।
আগামী সেপ্টেম্বরে উজবেকিস্তানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ সম্মেলন রয়েছে। দুই রাষ্ট্রপ্রধানেরই সেই বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা। সেখানে মোদি-চিনপিং বৈঠক হওয়ারও সম্ভাবনা আছে।