বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতে স্টেশনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪

  •    
  • ২৩ জুলাই, ২০২২ ১৩:০০

রেলওয়ের ডিসিপি হরেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পাহাড়গঞ্জ ও আজমেরি গেটের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তরা সবাই রেলওয়ে বিভাগের কর্মচারী এবং তাদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে ৩০ বছর বয়সী এক নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঘটা এই ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন ৭ জনের মধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে দিল্লি পুলিশ।

রিপাবলিক ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে গ্রেপ্তারকৃত সবাই রেলওয়ের কর্মী।

রেলওয়ের ডিসিপি হরেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পাহাড়গঞ্জ ও আজমেরি গেটের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

ধর্ষণে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩৭৬ডি (ব্যবস্থাপনা ও কর্মীদের দ্বারা সহবাস), ৩৪২ (অন্যায়ভাবে আটকে রাখার শাস্তি) এর অধীনে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে।

অভিযুক্তরা সবাই রেলওয়ে বিভাগের কর্মচারী এবং তাদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে হরেন্দ্র সিং বলেছেন, ধর্ষণের শিকার নারী গত বছর থেকেই তার স্বামীর থেকে আলাদা থাকছেন এবং বিয়েবিচ্ছেদের একটি মামলাও আদালতে চলমান রয়েছে। এমন অবস্থায় এক বন্ধুর মাধ্যমে রেলওয়ের কর্মচারীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। রেলওয়ে কর্মচারী তাকে চাকরি জোগাড় করে দেয়ার আশ্বাস দেন। ফোনে দুজনের কথাবার্তা চলতে থাকে।

২১ জুলাই নির্যাতনের শিকার নারীকে অভিযুক্ত রেলওয়ে কর্মচারী তার বাড়িতে ছেলের জন্মদিনের পার্টিতে আসার জন্য বলেন। পরে সেই নারী এলে সেই রেলওয়ে কর্মচারীসহ আরও কয়েকজন স্টেশনের একটি ঝুপড়ি ঘরেই তাকে নির্যাতন করেন। এ সময় ২ জন ঝুপড়ি ঘরের সামনে থেকে পাহারা দেন।

ভারতের মানবাধিকার কর্মী বৃন্দা আদিগে রিপাবলিক টিভিকে বলেন, এটি একেবারেই আতঙ্কজনক, মর্মান্তিক ও ভয়ংকর, কারণ অভিযুক্ত সবাই রেলওয়ের কর্মী।

বৃন্দার মতে, হুট করে এমনটি করেননি অভিযুক্ত রেলওয়ে কর্মীরা। আগে থেকেই তাদের পরিকল্পনা ছিল। তাদের মধ্যে একটা ধারণা ছিল যে তাদের কোনো বিচারের মুখোমুখি হতে হবে না।

তিনি মনে করেন, শুধু গ্রেপ্তার করলেই হবে না, রেলওয়ের পক্ষ থেকে তাদের বরখাস্ত করতে হবে এবং তারা যাতে তাদের জীবদ্দশায় আর কোনো দিন চাকরি না পায়, তাও নিশ্চিত করতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর