ভারতীয় রুপির দরপতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার ভারতের মুদ্রার বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় রুপি ডলারের বিপরীতে সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে এবং প্রতি ডলারের দাম ৮০ রুপি অতিক্রম করেছে।
ভারতীয় রুপির দরপতন এমন একসময়ে ঘটেছে, যখন এই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার বাড়াতে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের (যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক) বৈঠক হতে চলেছে।
মঙ্গলবার দিনের শুরুতেই বাজার খোলার পর রুপির ধস নেমে সর্বোচ্চ পতনের রেকর্ড গড়েছে। এখন রুপির বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রার দাম ৮০.০৬।
ব্লুমবার্গ প্রকাশিত প্রতিবেদনে, রুপি মঙ্গলবার ৭৯.৯৮৬৩-তে মূল্যমান শুরু হলেও পরে রুপি অবিলম্বে ৮০.০১৭৫-এ ইতিহাসের সর্বনিম্ন দামে পৌঁছেছে।
রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন বলছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর এক ডলারের দাম ছিল ৬৩ রুপি ৩৩ পয়সা।
২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর এই দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৬৯ রুপি ৭৯ পয়সায়। ২০১৯ সালে দেখা গিয়েছিল, ডলারের নিরিখে ভারতীয় মুদ্রার দাম ৭০-এর গণ্ডি ছাড়িয়ে গেছে।
করোনার সময়েও রুপির বিপরীতে ডলারের দাম ৭০-র আশপাশেই ছিল। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরেই ভারতীয় মুদ্রা বাজারে ধস নেমেছে। ক্রমে পড়ছে টাকার দাম।
সংসদে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়াসহ একাধিক বিষয় এর পেছনে রয়েছে।
সীতারমনের দাবি, শুধু যে রুপির দামে পতন হয়েছে তা-ই নয়, ইয়েন-ইউরোর মূল্যও ডলারের তুলনায় কমেছে।
কিন্তু এভাবে রুপির দামে পতন হতে থাকলে তার কী কী প্রভাব পড়তে পারে সে নিয়ে আলোচনা চলছে নানা মহলে।
বস্তুত, রুপির দাম নিম্নমুখী হয়ে পড়ার ফলে অশোধিত তেল, কয়লা, লোহা, স্টিল, ইলেকট্রিক পণ্য, প্লাস্টিক, সার, সোনা আমদানির খরচ বাড়তে পারে। বাইরে ঘুরতে যাওয়ার খরচ, বিদেশে শিক্ষার খরচ বাড়তে পারে। মুদ্রাস্ফীতিও দেখা দিতে পারে।